হতে পারে তোমার বয়েস আমার চেয়ে একটু বেশি,
হয়তো আমি তোমার চেয়ে বয়েসে একটু ছোটো।
কিন্তু তোমার মতোই তখন আমার কাছেও____
অনেক ব্যাপারই যে লাগতো বেশ খটোমটো !
বাড়ির কুকুর টমির ঘেউ ঘেউ শুনে ভাবতে,ও বকছে,
আমাকে দেখেও জানো,মা-মুরগীটা ছানা সামলেছে !
যতোই বোঝাই আমি ওদের এক ফোঁটাও মারবো না,
একটি ছানা ধরে তার সাথে শুধু খেলব, ও বোঝেনা।
তুমি ভেবেছো, হাসু আপার বাবাকে কি বাবা ডাকব?
কেউ বোঝেনা,মাকে ছেড়ে আমরা কি করে থাকবো !
হয়তো আমার মনের ইচ্ছেটা বুঝে গেছিলে বলেই ,
দুষ্টু ছেলেদের মতো ফড়িং এর ডানা ছিঁড়ে নাওনি।
আমিও বায়না করেছি একটা ফড়িং ধরে দিতে,
আর কেউ তা ধরে দিলে, ওকে একটুও ব্যাথা দিইনি।
মাছ ধরে আবার ওগুলোকে জলে ছেড়ে দিয়েছো।
কেঁদোনা রাসেল, তোমাকে বড় হতে দেওয়া হয়নি,
এদিকে তাকিয়ে দেখো না, আমিও আর বড় হইনি।
কথায় কথায় আজো সেই ছোটোবেলার মতোই,
একটুতেই এখনো ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলি অনায়াসেই।
আর মনে মনে সাইকেলে চলি ঠিক তোমার মতোই,
হতে পারে তোমার বাবা, বন্ধু আপামর বাঙালির,
তোমাকে যদিও কখনও কোনোদিন দেখিনি আমি,
তবু জানি, জানি তো তুমি যে এক বন্ধু হও আমার !
তুমি যেমন একদিন বুদ্ধ গৌতম হতে চেয়েছো,
স্বপ্নে তুমিই তো আমার বানানো পায়েস খেয়েছো।
তোমার এই সুজাতার কথা তুমি বেমালুম ভুলেছো!
বার্টার্ন্ড রাসেলের মতো যুদ্ধ বিরোধী নেতা হতে____ হয়তো তুমি পারোনি, কিন্তু একটা কথা জেনে রাখো, জামাল কামালের মতো তুমি যুদ্ধ না করলেও, তোমার জীবন কিন্তু একদম বৃথা যায়নি !
ব্রাশ ফায়ার করে তোমার জীবন নিয়ে নিলেও___
আমাদের বন্ধু শেখ রাসেলকে, রূপকথার গল্পের
ঝাঁপিতে রাখা স্মৃতি থেকে, একটুও মুছতে পারেনি।
সেই ছোট্ট, সুন্দর স্বভাবের মিষ্টি বন্ধু রাসেল, আছে!
আমাদের কাছ থেকে দূরে, একদম সরে যায়নি।