"আরামবাগের তাজা মুরগীর মজা" মনে পড়ে যায়,
চাঁপাডাঙার বৌ, লিখেছেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়,
এই গল্পটা নিয়ে নির্মল দে, সিনেমা বানান একসময়।
খানাকুলের রাধানগরে জন্মেছিলেন রামমোহন রায়।
কামারপুকুরের গদাধর, হয়েছেন বিখ্যাত এ দুনিয়ায়, লোকের কাছে "রামকৃষ্ণ পরমহংস" যার পরিচয়।
দুই ধারে আছে আরামবাগ, চাপাডাঙা, খানাকুল,
আর দুই পাশে ঘেরা কামারপুকুর, ক্ষীরপাই, ঘাটাল।
এর প্রায় মাঝামাঝি হুগলি জেলায় আছে এক গ্ৰাম,
অবাক কান্ড ! সত্যি সত্যিই "গুজরাট" গ্ৰামটির নাম।
তাম্রলিপ্ত, রাঙামাটি, কর্ণসুবর্ণ, অথবা গঙ্গারিডাই,
সে সব সময়ে যোগাযোগ ছিল তো শুধু জলপথেই ।
কে জানে কবে থেকে গ্ৰামটির নাম হয়েছে গুজরাট,
আছে এখানেও স্কুল, বাড়িঘর,শিশুদের খেলার মাঠ।
গুজরাটের কচ্ছের রণের কথা পড়েছি ছোটোবেলায়,
ছিলনা আন্দাজ মোটেই, গুজরাট আছে যে বাংলায়।
হঠাৎ মাঠ,ঘাট,নদী ও শহরের ম্যাপ দেখতে ইচ্ছে হয়,
গুগল ম্যাপ এখন আমাদের সকলের হাতের মুঠোয় ।
অজানা কত কিছুই যে এভাবে দেখা ও জানা হয়,
তার মধ্যে কিছু থাকে মাথায়, আর বাকি ভুলে যাই।
ধন্যবাদ জানাই, যে নারী কাজ করে গুগলের দুনিয়ায়।