বসন্তের বাগানটা ঝলমলে পলাশ ও পাতাবাহারে,
সেদিন দুপুরে সাজানো ঐ লনটায় ঠা ঠা রোদ্দুরে,
অমিতাভের মুখোমুখি চোখ বুঁজে ছিলাম দাঁড়িয়ে ।
হঠাৎ কোনোদিন ইচ্ছে হলে এমন কান্ড স্বাভাবিক,
কিন্তু তোমার চোখে হয়তো নতুন, হয়েছিলে অবাক।
কি জানি! তা দেখে তোমার কি খুব মায়া হয়েছিল ?
সেদিন আমার শরীরটা কেমন জ্বর জ্বর লাগছিল ।
তাই অমিতাভর কাছ থেকে নিচ্ছিলাম রোদ শুষে,
সাথে শক্তি আর উত্তাপ হচ্ছিল ভেতরে সঞ্চারিত___
ছিলাম হয়তো তখন তাই আমি ভীষণ আনমনা,
আসলে কিছুতেই যে অসুস্থ হতে চাইছিলাম না ।
কি করে দূপুরটা বিকেল হয়ে গেল এক মুহূর্তেই ?
সামনে ছায়া,গ্ৰহন! দেখি তোমার মুখ চোখ খুলতেই ।
ছিলে তো ঘরে, অথবা সেই গ্ৰিলে ঘেরা বারান্দায়,
বুঝিনি আমি, কখন এসেছো পা ফেলে ফেলে ঘাসে,
বিকেলে, দিন-দুপুরে চাঁদ আমার পানে চেয়ে হাসে।


জিজ্ঞেস করা হয়নি কোনোদিন, সে কি ভালোবাসে !
ভাবি, ভালো বাসে কি অন্য কাউকে, নাকি আমায় ?
আমার অনুমানই সত্য, ভালোবেসেছিল একজনকে,
অকপটে সত্যি কথাটা একদিন আমাকে সে জানায়।
নিজেই বলে যে, কোনোদিন ভুলতে পারবেনা তাকে।