আমিই তো শেলির দেওয়া নাম সেই "ফায়ার এয়ার",
ডিফ্লোজিস্টিক এয়ার, বলেন জোসেফ প্রিস্টলি।
তৈরি করেন আমাকে অতি যত্নে আবদ্ধ পাত্রে রেখে,
লাল, মার্কারি অক্সাইডের ওপর সূ্র্য কিরণ ফেলি ।
সেই হিসেবে ১৭৭৪, পয়লা আগষ্ট আমার জন্মদিন !
তারপর আমাকে নিয়ে গবেষণা চলে আরও বহুদিন,
এর আগে শিলেও, পেরেছিলেন আমাকে খুঁজতে,
প্রকাশকের গাফিলতিতে কেউ তা পারেনি জানতে ।
আসলে আমি তো বাতাসে মিশে হামেশাই ছিলাম,
আবিষ্কারের পর শুধু আলাদা ভাবে নজরে এলাম।
প্রিস্টলের কাছে শুনে ল্যাভয়সিয়ে এগিয়ে চলেন,
সব ধরনের অম্লতেই অপরিহার্য আমি,তা ভেবে নেন।
তাই তো আদর করে আমার নাম "অম্লজান" রাখেন !
যদিও আসলে তা নয়, আমাকে ছাড়াও এ্যাসিড হয়,
আমার চেয়ে বেশী উদজান অম্লতে দরকার মনে হয়।
নানারকম অম্লেতে উদজান থাকে নিশ্চিন্তে বসে,
কোনো ক্ষার, যদি বা তাকে উদ্ধার করতে আসে !
কিন্তু এসব কথা ভাবতে বয়ে চলে গেছে যতটা সময়,
ততদিনে আমার "অম্লজান" নামটি হয়েছে প্রতিষ্ঠিত!
আর তো মোছা সম্ভব নয়, হয়েছে একেবারে অক্ষয়।
অম্লদের জান যদি নাও হই, তাতে কোনো ক্ষতি নেই,
এ পৃথিবীর সবার জান কিংবা প্রাণ তো আমি বটেই !
যত সবুজ উদ্ভিদ আছে এই ধরাতে,কৃতজ্ঞ রই সর্বদা,
আমাদের তৈরি করে, আছে যত গাছ, মা-বাপ-দাদা !
ওরাই তো আমার বাবা-মা-ভাই-বোন-দিদি সকলেই।
মানুষের শ্বাসকষ্ট হলে তবেই তো তারা আমায় ভাবে,
বাকিটা সময় আমি থাকি কি মনে, ওদের অনুভবে ?
তরল আমি দেখতে নীল বটে, কিন্তু মোটেও বিষ নই,
আছে শক্তি ও গতি, বিমান, রকেট আকাশে উড়াই !