কনিয়াক যোদ্ধাদের কথা পড়তে পেলাম অনলাইনে।
উল্কি আঁকা হতো না, দেখতে ভালো লাগার কারণে !
এখনও উল্কিতে কেউ, শরীরে লেখায় নিজের নাম,
নাগাল্যান্ডের মন জেলায় আছে লঙওয়া নামে গ্ৰাম।
মেয়েদের রচিত উল্কি শোভা পায় নরনারীর দেহে,
অলঙ্কারের সাথে রীতিমত পাল্লা দেয় সে কারুকাজ,
গ্ৰামের মানুষদের যে পড়তেই হয়, সেই উল্কির মোহে।
উল্কি দেখে ওরা বোঝে, গ্ৰামের কোন মেয়ে বিবাহিত,
কোন মেয়ের জন্যে, খোঁজ করা চাই পাত্র উপযুক্ত  !
আগেকার দিনে কনিয়াকদের ছেলে সাবালক হলে,
মানতো সকলে শুধু তখনই তাকে, সাবালক বলে,
শিকারে বা যে কোনো যুদ্ধে গিয়ে সফলতা পেলে।
প্রমান স্বরূপ বিজিতের নর মুণ্ডু ঘরে টাঙানো হতো,
গ্রামের লোকজন এই উপলক্ষে এক ভোজ বসাতো।
কর্মের ধরন অনুযায়ী, তার গায়ে হতো উল্কি আঁকা,
দূর থেকে দেখেই যেন বোঝা যায় কে কত বড় বীর...
বুকে আছে কত দম, হয়েছে কেমন লড়াইটা শেখা !
শরীরের নানা স্থানে উল্কি থাকলে ততটা ভয় নেই,
তবে মুখে উল্কি থাকলে তাকে সকলে সমীহ করবেই।