বাংলাদেশ থেকে পলি, এবং এখানকার কিছু মানুষ,
জিজ্ঞেস করেছিল এই প্রশ্নটা, নামটা কেন এমন ?
আছে কি বলার মতো, তেমন কোনো কারন বিশেষ !
প্রশ্নের উত্তর পেতে যেতে হবে আমার ছোটোবেলায়,
নিজের নামের বানান ভুল করেছি স্কুলে, ভাবা যায় !
জেনেছি, নামটার মানে নাকি খুব মূল্যবান পাথর,
কি অনাসৃষ্টি,লোকে হাসে,চোখে জল আসে,সব পর !
এরপর থেকে অনেকেই রন্তু বলে ডাকে আমায়।
দিনে দিনে বড় হতে হতে চিনি রূপকথার হীরা-পান্না,
পোখরাজ-নীলা, মানিক্য, প্রবাল, মুক্তো, থামে কান্না।
এবারে মাথায় ভাবনা, এদের মধ্যে আমি কোনটা ?
প্রথমে ভেবেছিলাম হীরা, কিন্তু যেদিন জেনে গেলাম,
হীরা কয়লার আরেক রূপ, ইচ্ছেটার গলা চাপলাম।
আগেকার দিনে হয়তো খুব দামী ছিল ঐ মোতি,
এখন কালচার্ড পার্লের যুগে মুক্তো যেন বুনো হাতি ।
পান্না যে দিদির নাম, পোখরাজ আর নীলা দূরে থাক,
আমি তো পলা, সাঁতার না জেনেও জল ভালোবাসি ।
জলের গভীরের রহস্যময় জীবন দেখে আমি হাসি ।
আমার কাজে আমি সঁপে দিয়েছি আমার প্রাণ, মন।
শুরু করেছি ইউটিউব জার্নি, হয়েছে বছর দুই, তিন।
খুব দামী নয় তবু আমার কাজ আমার কাছে মানিক,
জানি কাটলেই চকচকে, দামী, তবে নেই প্রলোভন ।
প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চাই, শান্তিতে থাকে মন।
জানি কি, রুবিকে কাটার সময় তার কতটা কষ্ট হয় !
ঠিক কতটা দুঃখ জমে জমে একটা পাথর লাল হয় ?