রাত কাটতো প্রায় না ঘুমিয়ে, রাত দুটো কম নয়!
ঘুমোনোর চেষ্টা যে একদম করতাম না, তাও নয়।
বাঁ কাত, ডান কাত, চিৎ, সব রকম চেষ্টা করেও,
ঘুম ‌না এলে শেষে উপুর হয়েই হতো শুতে,
কিছুক্ষণ থাকতে পারলে ঘুম আসতো আঁখি পাতে।
পিঠ ব্যাথাটাও তাতে একটু কমতো মনে হয়।
আগেকার মতো মাথা ব্যাথা হলে পরে,
দাঁত চেপে ব্যাথা সহ্য করার দরকার নেই আর,
চাইলেই স্যারিডন এখনও পাওয়া যায়,
প্রেসক্রিপশন ছাড়া এমনিই দেয় দোকানদার !
কিন্তু পিঠ ব্যাথার ওষুধ খেলেই যে ঘুম পায়,
আসলে ওষুধগুলো বোধহয় ইচ্ছে করে ঘুম পাড়ায়।
শরীর ও মন অনেকটাই, যেন অজ্ঞান হতে চায় !
তার চেয়ে ভালো কোনো স্প্রেয়ার কিংবা রোলার,
যদিও চামড়ায় একটু একটু জ্বালা ধরায়,
মনে করায় আছে যত স্মৃতি আগুনে পোড়ার !
কোন কষ্টটা বেশী মনে হয়? পোড়ার নাকি ব্যথার !
তুল্য-মূল্যের হিসাব যে কিছুতেই আসেনা আমার।
মন-সাদা-পাতা আর রঙ খোঁজে কি না জানা নেই,
আজকাল খুশি হয়ে যায় শুধু কিছু শব্দ পেলেই ।
এ যেন অনেকটা চিনির বদলে চিনিচক্র বা স্টেভিয়া,
গুড়-মধু-মিছরি, সুগারের রুগীর কাছে স্বপ্নের প্রিয়া।
যে কটা দিন বাঁচতেই হবে, সুস্থ থাকাটা খুব জরুরী,
অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া নয়,যত দিক না সুড়সুড়ি।
রঙ-তুলির ব্যবহার না করেও তো আঁকা যায় ছবি,
কোনো শিল্পী, চারকোল দিয়ে সাদা কাগজে,
কল্পনা,বাস্তবের রূপ ফোঁটায়,দেখতে লাগে হেভি।
এই দুনিয়ায়, সকলেই তো সুস্থ হয়ে বাঁচতে চায়,
কে আর হতে চায়, দেয়ালে টাঙানো নির্বাক ছবি !
কিন্তু আজকাল, "যখন যেমন খুশি"  চলার কারণে,
বেশিরভাগ মানুষের মন,দখল করেছে মুঠো ফোন,
ক্যানভাস-ইজেল সকলেই গেছে বোধ হয় বনে।
আঁকার চেয়ে ছবি তোলা হতো বেশি অকারণে !
ছবি তোলার ইচ্ছে,এখন লুকিয়েছে কোনো কোনে।