*********
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ! আর এ সমাজে আমি মাথা—
সবাই উচ্চ কণ্ঠে বলে আমার নেই কোনো ব্যথা
আমার মনের গভীরে;আমি পুরুষ বলে
আমার দু’নয়ন নাকি ভাসে না আঁখির নোনতা জলে—
প্রীয়ার অথবা প্রিয়জনের মরণে!
মন আমার নাকি মজে অন্য প্রীয়ায়—আমি হই খুশী!
সবাই কি তাই—বলো,বলো ওহে বিদুশি ?
প্রিয়া অথবা প্রিয়জনের মৃত্যুতে দুঃখ আমারও হায়
আসে বুকের মাঝে—ওই ধরার উন্নত হিমালয় বা আল্পসের মত
দুঃসাধ্য দুঃখের ভার এঁটে বসে আমার বক্ষের প্রসারিত
ছাতায়—কঠিন পাথর হ’য়ে;তাহা গলে না বিশ্বব্যাপী উষ্ণতায়!
আমার সকল অশ্রুনালীতে অশ্রু খরস্রোতা নদীর ন্যায়
বহিতে চায়—ভাসা’তে চায় আমার এই যুগল আঁখিরে
অশ্রুনালীর কপাটক চূর্ণবিচূর্ণ ক’রে!
আমি পুরুষ বলেই,আমি চোখের জল রাখি লুকা’য়ে—
দুঃখ জ্বালা রাখি মনের নিবিড় গুহাতে সড়া’য়ে—
এ যে এক কৃষ্ণগহ্বর! যেথা তোমাদের নয়নালো
পৌঁছতেই সব শোষিত হ’বে—দেখিবে কেবল
ঘন তিমির কালো অন্ধকার চারিদিকে!  
আর যদি দেখিতে চাও তুমি তবে আঘাতো এ বুকে—
ওই শাণিত দীর্ঘ বর্শা দিয়ে;
দেখিবে বুকের জমানো সব ব্যথা অশ্রুতে মিলে বহিছে
মরা নদীর প্রাণে—তাঁরে আবার জাগা’য়ে—
ব্যস্ত সে ধারা কিন্তু পবিত্র ফল্গুধারা!
                ***********
                      *****
                          *