কবিতার আসরে থেকে যাবে আমার কবিতার ঠিকানা,
ছন্দ-বীণার তারটি হটাৎ ছিড়ে গেলো কেন জানিনা ।
এসেছিলো সে আত্মার প্রতীক হয়ে মন প্রাণ ছেয়ে,
হাতে হাত ধরে,সত্যসন্ধ হয়ে আর বিশ্বস্ত প্রণয়ী হয়ে।
অন্তর্জগতের বাসিন্দা হয়ে হৃদয়ে উঠেছিল ঝংকার,
রয়ে গেলো শুধু স্মৃতি, তার সৌরভ আর অহংকার।
কঠোর এই জীবনে দেখি খালি অপ্রেম চারিদিকে,
একটু শক্তপোক্ত হয়ে সহজ করে স্পর্শ কর পাঠককে।
নয়নকে,শ্রবণকে,মননকে, ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজ্ঞাপন,
তাই অন্তরঙ্গ থেকে পাঠক বহিরঙ্গে আজ করছে সমাপন।
জানিনা কেমনে পেতে দেব সেই আঁচলখানি বাঁচাতে কবিতা,
যার ওপরে পড়বে তোর চরণ দুটি হয়ে মমতাময়ী বনিতা।
বিপ্লব হোক আর বসন্ত হোক, চাই পাঠকের উষ্ণ ত্বকের ছোঁয়া,
রক্তে যে খালি তোর সুরই বাজে, নয় বিজ্ঞাপনের ধোঁয়া।
কবিতা অন্তর্লোকের, বিজ্ঞাপনের পৃথিবী কবিতার পৃথিবী নয়,
অবগুণ্ঠনবতি কবিতাই পারে ফেরাতে মানবাত্মার জয়!!