ঈদ উল আযহা বা ঈদ উল আজহা বা ঈদ উল আধহা (আরবি: عيد الأضحى‎, প্রতিবর্ণী. ʿīd al-ʾaḍḥā, অনুবাদ 'ত্যাগের উৎসব'‎, [ʕiːd ælˈʔɑdˤħæː]) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি।[১] চলতি কথনে এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই উৎসবকে ঈদুজ্জোহাও বলা হয়। ঈদুল আযহা মূলত আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো ‘ত্যাগের উৎসব’।[২] এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফযরের নামাযের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাক্বাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে ও অব্যবহিত পরে স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে।


**************


আজি বকরীদের দিনে
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


এসেছে হাসান, এসেছে রব্বান
আজি বকরীদের দিনে,
করিম মিঞার কাজ থেকে আজি
বকরী লইবে কিনে।


করিম মিঞার আর কিছু নাই
বকরীটাই সম্বল,
পয়সার লোভে বকরী বেচিবে
চোখ ফেটে আসে জল।


এতদিন ধরি লালন পালন
করেছে বকরীটাকে,
নিয়ে যেত মাঠে বকরী চরাতে
স্মৃতি শুধু মনে রাখে।


আজি শুভদিনে বকরীর শিঙে
ফুলমালা দিল বেঁধে,
ঘর হতে তার টেনে নিয়ে যায়
প্রাণ উঠে তার কেঁদে।


আর কিছু পরে সকলেই ধরে
কাটা হলো তার মাথা,
লাগিল আঘাত করিমের বুকে
স্মরি মনে পায় ব্যথা।


***************
সকলকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু।।