অজয় নদী ঘাটের কাছে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অজয় নদী ঘাটের কাছে
প্রকাণ্ড এক বটের গাছে
               শালিক পাখির বাসা,

সকাল হতে অজয়ের চরে,
সোনালী রোদ খেলা করে।
                লোকের যাওয়া আসা।

ছেলেরা আসে গামছা পরা
হাতে তেল ও সাবান ধরা
                  চটি জোড়া পরে পায়ে,

চটির জোড়া খুলে রাখে,
ঘাটে বসে সাবান মাখে,
                   স্নান সেরে আসে গাঁয়ে।

বধূরা আসে কলসী নিয়ে
চলে গাঁয়ের পথটি দিয়ে,
                     রাখাল বাজায় বাঁশি,

নদীর ঘাটে পড়ে বেলা,
সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা
                       ফিরলো গাঁয়ের চাষী।

আঁধার নামে গাঁয়ের মাঝে,
দূরে কোথাও সানাই বাজে,
                       মন্দিরে আরতি হয়,

আকাশের গায়ে চাঁদ উঠে
সাঁঝের তারা উঠল ফুটে
                        অজয় তটিনী বয়।