অজয় নদীর কাব্য– দ্বাদশতম পর্ব
দ্বিতীয় বর্ষ – দ্বিতীয় সংখ্যা
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর কবিতাগুচ্ছ
——–:)(:———
অজয় নদীর কাব্য
দ্বাদশতম পর্ব।
——–:)(:———
প্রথম প্রকাশ- 25শে জানুয়ারী, 2018
দ্বিতীয় প্রকাশ- 25শে ফেব্রুয়ারী, 2018
তৃতীয় প্রকাশ- 25শে মার্চ, 2018
চতুর্থ প্রকাশ-17ই মে, 2018
পঞ্চম প্রকাশ- 2রা জুন, 2018
ষষ্ঠ প্রকাশ- 26শে জুন,2018
সপ্তম প্রকাশ- 2রা সেপ্টেম্বর, 2018
অষ্টম প্রকাশ- 30শে অক্টোবর, 2018
নবম প্রকাশ- 15ই নভেম্বর, 2018
দশম প্রকাশ- 27শে নভেম্বর, 2018
একাদশতম প্রকাশ-15ই জানুয়ারী, 2019
দ্বাদশতম প্রকাশ-6ই মে, 2019
----------)<>(------------
ভূমিকা
অজয় নদীর কাব্য এ বছরে দ্বিতীয় বর্ষ পদার্পন করলো। বহু পাঠক ও বাংলা কবিতা আসরের শ্রদ্ধেয় কবিগণের সহযোগিতায় তাদের মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অজয়নদীর কাব্য দ্বাদশতম পর্বের দ্বিতীয়বর্ষ -দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হল। কবিতার সবগুলিই কবিতার আসরে প্রকাশিত হয়েছে। পুনর্বার প্রকাশ দেওয়া হল এক গুচ্ছ কবিতার পাতায়।
শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে কিছু নতুন কবিতাও এই সংখ্যায় প্রকাশ করা হল। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
বিনীত কবি
নারায়না বিহার নতুন দিল্লি-110028
---------)<>(------------
সূচীপত্র
1. আঁধার নামে অজয়ের চরে
2. গাঁয়ে আছে ছোট ঘর
3. ঊষাকালে মোর গাঁয়ে
4. ভোর হয় অজয়ের চরে
5. ছোট গাঁয়ে দুইপাশে
6. আমার গাঁয়ের অজয়নদী
7. অজয়ের ঘাটে বেলা পড়ে
8. অজয় নদীর ধারা বহে
9. গাছেগাছে পাখি ডাকে
10. অজয়ের ঘাটে এসে
11. অজয়নদী ঘাটের কাছে
12. চাঁদ তারা শুধু জাগে
13. রাত কাটে ভোর হয়
14. অজয়ের পারে
15. নদীতীর সুশীতল
---------)<>(------------
আঁধার নামে অজয়ের চরে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
মোদের গাঁয়ের কাছে ছোট এক নদী আছে
নদীঘাটে আছে বটগাছ,
অজয়ের নদীবাঁকে আসে বক ঝাঁকে ঝাঁকে
চরে বসে ধরে ছোটমাছ।
পূবদিকে রবি উঠে বনে বনে ফুল ফুটে
কুঞ্জেকুঞ্জে পাখি গীত গায়,
আমাদের ছোট গ্রাম পাশ দিয়ে অবিরাম
অজয়ের ধারা বয়ে যায়।
পথের পথিক যত পথে চলে অবিরত
রাঙাপথে পার হয় গাড়ি,
বাগানে আমের শাখে বসন্তে কোকিল ডাকে
দূরে হেরি তাল ও সুপারি।
লাল চেলি শাড়ি পরা আসে গাঁয়ের বধূরা
কলসী কাঁখে অজয়ের ঘাটে,
শেষ খেয়া বায় মাঝি তরী আনে ঘাটে আজি
পশ্চিমেতে সূর্য বসে পাটে।
এ গাঁয়ের মাঝিভাই সারাদিন খেয়া বায়
সন্ধ্যাবেলা ফিরে আসে ঘরে,
সূর্য যেই ডুবে যায় ক্রমে আঁধার ঘনায়
আঁধার নামে অজয়ের চরে।
---------)<>(------------
গাঁয়ে আছে ছোট ঘর
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ে আছে ছোট ঘর ছোট ছোট গাছ,
ছোট ছোট দিঘিজলে খেলে ছোট মাছ।
ছোট ছোট ফুল ফোটে ফুলের বাগানে,
ছোট এক আছে কূয়া গাঁয়ে মাঝখানে।
ছোট সরু গলি পথে আসে যত মেয়ে,
ছোট ছোট গরুগাড়ি চলে দ্রুত ধেয়ে।
ছোট ছোট গাছে কত ধরে কচিপাতা,
ছোট শিশু হাত ধরি হাঁটে পথে মাতা।
ছোট এক নদী আছে গ্রাম সীমানায়,
ভাটিয়ালী গায় মাঝি ছোট তরী বায়।
আপন বেগেতে ছোট নদী বয়ে চলে,
ছোট মাছ ধরে বক অজয়ের জলে।
ছোট পাখি গীত গায় নদীতটে গাছে,
অজয়ের দুই পারে ছোট গ্রাম আছে।
---------)<>(------------
ঊষাকালে মোর গাঁয়ে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ঊষাকালে মোর গাঁয়ে সমীরণ বয়,
তরুশাখে গাহে পাখি সুপ্রভাত হয়।
পূর্বাকাশে হেরি রবি লোহিত বরণ,
ফুলকলি ফুটে সব পুষ্পিত কানন।
সকালের সোনারোদ ঝরে বারান্দায়,
ময়না চড়ুই এসে খেলে আঙিনায়।
দূরে আঙিনায় দেখি বাঁধা রাঙীগাই,
রাঙীগাই আছে শুয়ে, বাছুরীটি নাই।
সারি সারি গরুগাড়ি রাঙাপথ ছাড়ি,
অজয়ের নদীঘাটে ছুটে তাড়াতাড়ি।
অজয়ের ঘাটে এসে গাড়ি সব থামে,
বেনারসী শাড়ি পড়ে নববধূ নামে।
অজয়ের বালুচরে নৌকা বাঁধা থাকে,
সকালের সোনারোদ হাসে নদীবাঁকে।
---------)<>(------------
ভোর হয় অজয়ের চরে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয়ের নদীঘাটে বেলা পড়ে আসে,
সোনালী কিরণে রবি পশ্চিমে হাসে।
নির্জন অজয় ঘাট নৌকা বাঁধা চরে,
সাঁঝের সানাই বাজে চিত্ত উঠে ভরে।
পাখিসব আসে ফিরে আপনার নীড়ে,
পাখিদের কলরব অজয়ের তীরে।
পশ্চিম দিগন্তে হেরি রবি বসে পাটে,
সাঁঝের আঁধার নামে অজয়ের ঘাটে।
দূরে গ্রামে জ্বলে দীপ আঁধার ঘনায়,
শাল পিয়ালের বনে চাঁদ দেখা যায়।
অন্ধকারে তারা ফুটে রাতের আকাশে,
পূর্ণিমার চাঁদ দূরে আকাশেতে হাসে।
জোছনায় নদীজল চিক চিক করে,
রাত কাটে ভোর হয় অজয়ের চরে।
---------)<>(------------
ছোট গাঁয়ে দুইপাশে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমাদের ছোট গাঁয়ে দুইপাশে বাড়ি,
রাঙাপথে সারি সারি চলে গরুগাড়ি।
সকালে সোনার রবি পূবদিকে হাসে,
সবুজ গাছের সারি রাঙাপথ পাশে।
গাঁয়ে আছে ছোট দিঘি জল তার কালো,
মরাল মরালী ভাসে দেখে লাগে ভালো।
পানকৌড়ি আসে রোজ ডুব দেয় জলে,
জাল ফেলে মাছ ধরে জেলেরা সকলে।
গাঁয়ে আছে ছোট নদী সরু বালিচর,
কল-কল অবিরল বহে নিরন্তর।
কলসীতে জল ভরে বধূরা সকলে,
রাঙাপথে চলে সবে স্নান সারা হলে।
বেলা পড়ে আসে যবে নদী কিনারায়,
অস্তাচলে ঢলে রবি কিরণ হারায়।
সাঁঝের আঁধার নামে অজয়ের ঘাটে,
চাঁদ উঠে তারা ফুটে নিশিরাত কাটে।
---------)<>(------------
আমার গাঁয়ের অজয়নদী
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার গাঁয়ের অজয় নদী
অবিরাম চলে বয়ে,
অজয়ের ঘাটে বধূরা আসে
কাঁখেতে কলসী লয়ে।
ঘাটের কাছে বটের গাছে
পাখি সব গীত গায়,
একতারা নিয়ে বাউল গাহে
গাঁয়ের বাউল ভাই।
রবিবার তাই অজয়ের ঘাটে
বসেছে আজিকে হাট,
দিনশেষে সবে চলে কলরবে
নির্জন নদীর ঘাট।
দিনের শেষে ক্লান্ত পাখিরা
ফিরিছে আপন নীড়ে,
নির্জন ঘাটে আঁধার নামে
অজয় নদীর তীরে।
আমার গাঁয়ের অজয় নদী
কুলু কুলু বয়ে চলে,
পূর্ণিমা রাতে জোছনা ঝরে
অজয় নদীর জলে।
---------)<>(------------
অজয়ের ঘাটে বেলা পড়ে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয়ের ঘাটে বেলা পড়ে
নামে সাঁঝের আঁধার,
পাখিরা সব বাসায় ফেরে
দীপ জ্বলে চারিধার।
শাঁখ বাজিয়ে ধূপ জ্বালিয়ে
গাঁয়ের নতুন বধূ,
তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালায়
প্রণাম করে শুধু।
আকাশ পারে উঠলো দেখি
দূরে সাঁঝের তারা,
চাঁদ উঠেছে বাঁশ বাগানে
ঝরে জোছনার ধারা।
অজয় ঘাটে নৌকা বেঁধে
মাঝি চলে গেছে ঘরে,
জোছনা রাশি করছে খেলা
অজয় নদীর চরে।
রাত ফুরালো সকাল হলো
উঠলো অরুণ রবি,
অজয় চরে কিরণ ঝরে
দেখি যে নতুন ছবি।
---------)<>(------------
অজয় নদীর ধারা বহে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয় নদীর ধারা বহে অবিরাম,
দুইধারে ছায়াঘেরা ছোট ছোট গ্রাম।
রাঙাপথে আসে যত গ্রাম্যবধূ সব,
গাছে গাছে পাখিদের শুনি কলরব।
অজয় নদীর ধারা অবিরত বয়,
নদীজল কলকল শব্দে কথা কয়।
সরু বালি চরে আসে শালিকের দল,
সারাদিন চরে বসে খেলে অবিরল।
অজয় নদীর ধারা সদা বয়ে চলে,
নদীঘাট সারাদিন ভরে কোলাহলে।
বেলাশেষে পশ্চিমেতে সূর্য বসে পাটে,
সাঁঝের আঁধার নামে অজয়ের ঘাটে।
শ্মশানে জ্বলিছে চিতা অজয়ের পারে,
রাত কাটে ভোর হয় নদীর কিনারে।
---------)<>(------------
গাছেগাছে পাখি ডাকে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাছেগাছে পাখি ডাকে হরষিত অন্তর,
গাঁয়ে আছে আটচালা মাটির কুঁড়েঘর।
গাঁয়ে আছে ছোট নদী অজয়নদী নাম।
অজয়ের এপারেতে আমাদের গ্রাম।
পূবের আকাশে ওঠে প্রভাতের রবি,
সোনালী আলোয় হেরি অজয়ের ছবি।
গাঁয়ের রাখাল চলে গরু নিয়ে মাঠে,
দুধারে ধানের খেতে চাষীরা ধান কাটে।
দুপুর হলে নাইতে আসে পাড়ার বধূরা সবে,
হৃদয়েতে পুলক জাগে বিহগের কলরবে।
আম বাগানেতে জুটে পাড়ার যত ছেলে,
দৌড়াদৌড়ি করে সবে সারাটা দিন খেলে।
সন্ধ্যার পরে সব ছেলে ফিরে আসে বাড়ি,
রাঙাপথে উড়িয়ে ধূলো আসে তাড়াতাড়ি।
রাতের আকাশে গাঁয়ে চাঁদ তারা হাসে,
অজয়ের বালির চর জোছনায় ভাসে।
----------)<>(------------
অজয়ের ঘাটে এসে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয়ের ঘাটে এসে তরীখানি থামে,
মাথায় বোঝাই লয়ে লোকজন নামে।
পূবেতে অরুণ রবি কিরণ ছড়ায়,
মাঝিভাই নৌকা বায় ভাটিয়ালি গায়।
গরুগাড়ি হতে ঘাটে নামে নববধূ,
ঘোমটায় দেখা যায় চোখ দুটি শুধু।
পায়েতে আলতা পরা বেনারসী শাড়ি,
বাপের বাড়ি ছেড়ে চলে শ্বশুর বাড়ি।
নদীতটে ঝাঁকে ঝাঁকে শালিকের দল,
সারাদিন খেলে চরে করে কোলাহল।
আকাশেতে শঙ্খচিল উড়ে মেলে পাখা,
সবুজ গাছের ছায়ে গ্রামখানি ঢাকা।
অজয়ের ওপারেতে তরী ছুঁয়ে যায়,
কাশবনে ফুল ফুটে পাখি গীত গায়।
----------)<>(------------
অজয় নদী ঘাটের কাছে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয় নদী ঘাটের কাছে
প্রকাণ্ড এক বটের গাছে
শালিক পাখির বাসা,
সকাল হতে অজয়ের চরে,
সোনালী রোদ খেলা করে।
লোকের যাওয়া আসা।
ছেলেরা আসে গামছা পরা
হাতে তেল ও সাবান ধরা
চটি জোড়া পরে পায়ে,
চটির জোড়া খুলে রাখে,
ঘাটে বসে সাবান মাখে,
স্নান সেরে আসে গাঁয়ে।
বধূরা আসে কলসী নিয়ে
চলে গাঁয়ের পথটি দিয়ে,
রাখাল বাজায় বাঁশি,
নদীর ঘাটে পড়ে বেলা,
সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা
ফিরলো গাঁয়ের চাষী।
আঁধার নামে গাঁয়ের মাঝে,
দূরে কোথাও সানাই বাজে,
মন্দিরে আরতি হয়,
আকাশের গায়ে চাঁদ উঠে
সাঁঝের তারা উঠল ফুটে
অজয় তটিনী বয়।
----------)<>(------------
চাঁদ তারা শুধু জাগে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
নয়ন দিঘির পাশে আমের বাগান,
আমবাগানেতে শুনি কোকিলের গান।
নয়ন দিঘির জলে রাজহাঁস ভাসে,
লাল রবি দেয় উঁকি পূবের আকাশে।
রাঙাপথ ধরে আসে গাঁয়ের বধূরা,
মাটির কলসী কাঁখে লাল শাড়ি পরা।
সবুজ তরুর শাখে বিহগের দল,
সারাদিন কিচিমিচি করে কোলাহল।
অজয়ের নদীঘাটে আসে গরুগাড়ি,
যাত্রীরা এসে নৌকায় চড়ে তাড়াতাড়ি।
সকালে গাঁয়ের মাঝি ঘাটে বৈঠা বায়,
ভাটিয়ালি গান গেয়ে পার হয়ে যায়।
অজয় নদীর ঘাটে পড়ে আসে বেলা,
দিনশেষে ঘরে ফেরে লোকজন মেলা।
সাঁঝের আঁধার নামে অজয়ের চরে,
চাঁদ তারা শুধু জাগে সারা রাত ধরে।
----------)<>(------------
রাত কাটে ভোর হয়
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয়ের নদীঘাটে পড়ে আসে বেলা,
ডুবে রবি সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা।
পাখিরা বাসায় ফেরে আঁধার ঘনায়,
চাঁদ উঠে তারা ফুটে আকাশের গায়।
জোছনায় নদীজল ঝিকিমিকি করে,
তরীখানি আছে বাঁধা অজয়ের চরে।
অদূরে শ্মশানঘাটে জ্বলে মৃতদেহ,
চিতার আগুনে কাঁদে মায়াময় স্নেহ।
শাল পিয়ালের বনে শেয়ালেরা হাঁকে,
কুকুরেরা ডাক ছাড়ে অজয়ের বাঁকে।
রাত কাটে ভোর হয় অজয়ের ঘাটে,
রাঙা রবি দেয় উঁকি চাঁপাডাঙা মাঠে।
সোনালী কিরণ ঝরে অজয়ের জলে,
অজয়ের ঘাট ভরে যাত্রী কোলাহলে।
----------)<>(------------
অজয়ের পারে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমাদের গ্রামখানি অজয়ের পারে,
সবুজ গাছের সারি পথের দুধারে।
আমগাছ, তালগাছ, খেজুর, সুপারি,
রাঙাপথ গেছে চলে নদীঘাট ছাড়ি।
অজয়ের নদীঘাটে রবি রোজ উঠে,
উড়িয়ে পথের ধূলো গরুগাড়ি ছুটে।
গরুগাড়ি নদীঘাটে থামে অবশেষে,
ভাটিয়ালি গায় মাঝি আসে সুর ভেসে।
গাঁয়ে আছে পদ্মদিঘি কালো জল তার,
জলে তার হাঁসগুলি কাটিছে সাঁতার।
কলসী কাঁখে বধূরা জল নিয়ে যায়,
তরুতলে বসি কেহ বাঁশরী বাজায়।
বেলাশেষে ডুবে রবি অন্ধকার নামে,
চাঁদ উঠে তারা ফুটে আমাদের গ্রামে।
----------)<>(------------
নদীতীর সুশীতল
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
নদীতীর সুশীতল স্নিগ্ধ সমীরণ,
তরুশাখে বিহগের মধুর মিলন।
আম্রকুঞ্জে কোকিলের সুমধুর গান,
কোকিলের কুহুতানে হরষিত প্রাণ।
শালবনে কারা ওই বাজায় মাদল,
মাদলের তালে তালে হৃদয় পাগল।
ধামসামাদল বাজে বাঁশি বেজে উঠে,
শিমূল পলাশ বনে লাল ফুল ফুটে।
সাঁওতালী বধূগণ সবে এক সাথে,
মহুয়ার নেশা লাগে বসন্ত প্রভাতে।
সকলেই গান গায় পুলকিত চিত্ত,
মাদলের সুরেসুরে করে ওরা নৃত্য।
ফাগুনের ফুলবনে ফুটে কত ফুল,
আম্রশাখে মঞ্জুরিত আম্রের মুকুল।