পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তিতে অজয়ের ঘাটে দূরবর্তী বহু গ্রাম থেকে মকর স্নান করতে বহু লোকের জন-সমাগম হয় আজকের দিনে। তীরে তীরে বহু দোকানপাট বসে, স্নানের পরে সবাই মুড়ি মুড়কি, সিঙাড়া, আলুর চপের দোকানে ভিড় জমায়। গাঁয়ের এই মহামিলনে সকলেই সমবেত হয় অজয়ের ঘাটে।


সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। মানুষকে ভালবাসুন, মানুষের সুখদুঃখের সাথী হোন। বাংলা কবিতার আসরে আমার প্রিয় সকল কবিগণকে শুভ মকর-সংক্রান্তির আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


অজয়ের ঘাটে মকরস্নান (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


অজয়ের ঘাট ভরে মানুষের ভিড়ে,
মানুষের ঢল নামে অজয়ের তীরে।
গোরু-গাড়ি চড়ি কেহ নদীঘাটে আসে,
কেহ আসে সাইকেলে কেহ মিনিবাসে।


অজয়ের ঘাট ভরে জন কোলাহলে,
মকর সিনান করে সবে নদীজলে।
জলে নামি স্নান করে যত নর-নারী,
বসেছে দোকান কত ঘাটে সারিসারি।


পূবেতে অরুণ রবি দিতেছে কিরণ,
মকর স্নানের তরে এ মহা মিলন।
টুসুর ভাসান আজি অজয়ের ঘাটে,
মহানন্দে সবাকার সারাদিন কাটে।


অজয়ের ঘাটে আজি মহা ভিড় জমে,
বেলা হলে অবশেষে ভিড় যায় কমে।
অজয়ের ঘাটে করি মকর সিনান,
পিঠেপুলি কাব্য লিখে লক্ষ্মণ শ্রীমান।