বাংলা কবিতা আসরের স্বনামধন্য আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় প্রিয়কবি সঞ্জয় কর্মকার মহাশয়ের পারিবারিক বিপর্যয়ে আমরা সকলেই শোকসন্তপ্ত।


পারিবারিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তিনি তার লেখনী চালিয়েছেন পুরোদমে পূর্ণ উদ্যমে। সকল কবিতাগুচ্ছ পাঠ করে মুগ্ধ ও অভিভূত হলাম। তাঁকে কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। সবার সেরা প্রিয়কবির শোকসন্তপ্ত পরিবারকে আমরা জানাই সমবেদনা ।


ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি দুঃখ কান্নার মধ্য দিয়েও ওনার জীবনে আবার সুখের সূর্য উঠুক। আসুক নতুন সকাল, পরিবারে ফিরে আসুক সুখ সমৃদ্ধি আর আনন্দ। প্রিয়কবিকে অসংখ্য অভিনন্দন। প্রিয়কবি সঞ্জয় কর্মকার মহাশয়কে জানাই হৃদয়ের সশ্রদ্ধ অভিনন্দন, ভক্তি আর আন্তরিক শ্রদ্ধা।


তাঁকে সমবেদনা জানাতেই তাঁর শ্রীচরণকমলে উত্সর্গীকৃত আমার ষষ্ঠ কবিতা।


বিধাতা কেন পাষাণ হেন
                   - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


বিধাতা কেন পাষাণ হেন দেখিতে না পায় চোখে,
কেহবা হাসে নব উল্লাসে কেহ কাঁদে দুঃখে শোকে।
হিংসায় গড়া এই বসুন্ধরা কাঁদে নাকো তাহার প্রাণ,
কেহ পাঁচতলায়, রাজভোগ খায় কেহবা ক্ষুধায় ম্লান।


বিধাতা কেন পাষাণ হেন শুনেও শুনে না শ্রবণে,
ক্ষুধায় কাতর বিশ্ব চরাচর স্মরি যন্ত্রণা পাই মনে।
নিজেদের ভুল প্রতি পলে পলে বুঝিতে কি পারে?
ভাইয়ের রক্তে কৃপাণ রাঙিয়ে মানুষেরে প্রাণে মারে।


কেহবা থাকে বহুতল ফ্ল্যাটে টাকার বিছানায় শুয়ে,
কেহ অনাহারে না খেয়ে মরে ছেঁড়া কাঁথাতে ভুঁয়ে।
মানুষে মানুষে হানাহানি আজ আসে না মানুষ পাশে,
বিপদে তাহার কাঁদে না আর, দাঁত বার করে হাসে।


মানুষ নিজের ভাগ্যের বিধাতা, বিধাতার খেলাঘরে।
এই বসুধায় বিধাতারে তাই বৃথা দোষারোপ করে।
আমার বিধাতা সবাকার ত্রাতা ভাগ্যের খাতা লেখে,
দুঃখের মাঝে কত রূপ সাজে সুখেরে লুকিয়ে রাখে।