গতকাল ছিল বিশ্ব কবিতা দিবস। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ মার্চকে ‘বিশ্ব কবিতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করাই দিনটি পালনের লক্ষ্য। ইউনেস্কোর অধিবেশনে এই দিবস ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল- ‘এই দিবস বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলোকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দেবে।’


আসুন, বিশ্ব কবিতা দিবসে আমরা সারা বিশ্বের কবিতার ভাণ্ডারকে সুসমৃদ্ধ করে তুলি।
কবিতা মনের কথা বলে, কবিতা প্রাণের কথা বলে, কবিতা বিশ্বের জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি।
বিশ্ব কবিতা দিবসে সারা বিশ্বের কবিগণ হাতে হাত রেখে এগিয়ে আসুন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন, প্রত্যাশা রাখি।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


বিশ্ব কবিতা দিবসের জ্বলন্ত কবিতা
(কবির ১৭০০তম প্রয়াস)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


বিশ্ব কবিতা দিবসে আজিকে
কালো অক্ষরের দল,
কবিতার পাতায় বিদ্রোহী হয়ে
করে ওরা কোলাহল।


অবাধে চলিছে ভ্রুণহত্যা আর
শিশুদের অবহেলা,
হত্যায় রচিত ধরণীর ধূলি
শিশুরক্তে হোলি খেলা।


ক্ষুধাতুর শিশু পায় নাকো অন্ন
লজ্জায় লুকায় রবি,
সম্মুখে ভাসিছে কত অসহায়
ক্ষুধার্ত শিশুর ছবি।


পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো আজি
মনে হয় পোড়া রুটি,
ভেঙে ফেল কলম বিদ্রোহী কবি
কবিতারে দাও ছুটি।


যারা কেড়ে খায় কচি শিশুর গ্রাস
ভুলিতে কভু কি পারি?
মসী ছেড়ে আজি অসি ধরো কবি
তুলে নাও তরবারি।


ক্ষুধাতুর শিশু কান্না ভুলে যবে
মৃত্যুমুখে পড়ে ঢলে,
লেখনী আমার অশান্ত হয়ে
তাদেরই কথা বলে।


কবিতার পাতায় বিদ্রোহ আজিকে
কবিতায় কথা বলে,
ওদের ব্যথা দিলে পারিনা সহিতে
লিখে রাখি প্রতিপলে।


বিশ্ব কবিতা দিবসে আজিকে
জাগুক কবির দল,
সব কিছু ভুলে থামাও আজিকে
শিশুমৃত্যু কোলাহল।