শুভ বিজয়া দশমী ............... দেবী বিসর্জন
আবার আসিও মা পুনর্বার (প্রথম পর্ব)
তথ্য সংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


বিজয়া দশমী আজ (বুধবার)। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এ দিনেই দেবী মর্ত্য ছেড়ে ফিরে যাবেন স্বামীগৃহ কৈলাসে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে আজ শুধুই বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় ভেসে আসে দেবী মা দুর্গার বিদায়ের সুর।


পুরাণ মতে, বিজয়া দশমীর অন্যতম আয়োজন ‘দেবীবরণ’। রীতি অনুযায়ী, সধবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে মা দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান। দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর সেই সিঁদুর প্রথমে সিঁথিতে মাখান, পরে একে অন্যের সিঁথি ও মুখে মাখেন। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে দেবীকে বিদায় জানান, যা সিঁদুর খেলা নামে পরিচিত।


মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ১ অক্টোবর শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। এরপর হাসি-আনন্দ আর পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে কেটে যায় চারটি দিন। আজ সকালে দশমী বিহিত পূজা শেষে দর্পণ-বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী মা দুর্গাকে। আর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়েই শেষ হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।


পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে এসেছেন গজে (হাতিতে) চেপে। গজে চড়ে দেবীর আগমনের অর্থ হলো শুভ। মনে করা হয়ে থাকে, দেবী যদি গজে চড়ে মর্ত্যে আসেন তাহলে তিনি সঙ্গে করে সুখ, সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন। হাতি হচ্ছে জ্ঞান ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর আজ বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্য ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় চড়ে মত্য ছাড়লে ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ হবে। পৃথিবী হয়ে ওঠে শস্য শ্যামলা। কিন্তু সেই সঙ্গে অতি বর্ষণ বা প্লাবনের আশঙ্কাও দেখা দেবে।



বিসর্জনের বাজনা বাজে ...... দেবী বিসর্জন
একটি বছরের প্রতীক্ষা আবার (প্রথম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


বিসর্জনের বাজনা উঠিল বাজিয়া,
সবার হৃদয় আজি উঠিল কাঁদিয়া।
আবার আসিও মাগো বসুধা মাঝার,
একটি বছর তরে প্রতীক্ষা আবার।


দেবীর গমন আজি মর্ত্যধাম হতে,
চলিছেন দেবী দুর্গা কৈলাশ পর্বতে।
জননীর সাথে চলে দেব গজানন,
লক্ষ্মী, সরস্বতী আর ময়ূর বাহন।


শঙ্খধ্বনি জয়ধ্বনি মহা কোলাহল,
প্রতিমা বরণ করে মহিলা সকল।
মধ্যাহ্নে সিঁদুর খেলা দেবী বিসর্জন,
ঢাকঢোল কাঁসি বাজে নাচে শিশুগণ।


বাঙালির দুর্গাপূজা মহা ধূমধাম,
শুভ বিজয়া দশমী, জানাই প্রণাম।
বিজয়া দশমী কাব্য হ’ল সমাপন,
দেবী বিসর্জন কাব্য লিখিল লক্ষ্মণ।