শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। সেই সুশিক্ষা যাঁরা দান করেন, দেশ ও জাতিকে যাঁরা প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যান, শিশুর কণ্ঠে যাঁরা ভাষা ফুটিয়ে তোলেন, আজ মহান শিক্ষক দিবসে তাঁদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভক্তিপূর্ণ প্রণাম।
আজ আমার নিবেদন পরম শ্রদ্ধেয়া শিক্ষিকা শ্রীমতী অঞ্জনা গোস্বামীর উদ্দেশ্যে
উত্সর্গীকৃত আমার কবিতা


হে শিক্ষিকা! (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্ব)
কলমে -কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


(যে দেশে আপনার মতো শিক্ষিকা আছেন, আমি সুনিশ্চিত, সেই দেশ প্রগতির পথে অগ্রসর হবেই। সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক সেই শিক্ষিকাকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।


হে শিক্ষিকা! আপনি স্ফুলিঙ্গ, অনুপ্রেরণা, পথপ্রদর্শক, ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের প্রদীপ প্রজ্বলিত করে তাদের জীবনে আলো দেখান। আপনি একজন শিক্ষিকা, আজ মহান শিক্ষক দিবসে আপনাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভক্তিপূর্ণ প্রণাম।


একজন কৃতী ছাত্র বা ছাত্রীর জীবনে আপনি সাফল্যের চাবিকাঠি। আপনি তাদের শিখিয়েছেন, কী ভাবে চরিত্র গঠন করতে হয়। তাদের চরিত্রে সততা ও আবেগের জন্ম দিয়েছেন আপনি।


আপনাকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। শিক্ষাক্ষেত্রে আপনার অবদান ব্যাখ্যা করতে গেলে কোনও কথাই যথেষ্ট নয়। পড়ানোর প্রতি আপনার উৎসাহ সকলের মন স্পর্শ করত, আজও করে। পড়ানোর প্রতি আপনার একাগ্রতা দেখে সকলেই অনুপ্রাণিত হয়।


আপনি পারেন ছাত্রছাত্রীদের লিখিয়ে, পড়িয়ে, শিখিয়ে দেশের ও দশের মুখ উজ্জবল করতে। হে শিক্ষিকা! আপনাকে শত সহস্র প্রণাম।)


শিক্ষার আলোক তুমি শিক্ষার জগতে,
জ্ঞানের প্রদীপ তুমি জানি ভাল মতে।
ভালবেসে সবাকারে কর শিক্ষাদান,
শিক্ষক দিবসে আজি জানাই সম্মান।


হে শিক্ষিকা! শিক্ষাদাত্রী তব করুণায়,
পথ হারা বিদ্যার্থীরা সবে পথ পায়।
সবারে দেখাও পথ, শিক্ষা কর দান,
তব সু-শিক্ষায় সবে হয় জ্ঞানবান।


শিখাইলে সবাকারে লিখন পঠন,
তব সু-শিক্ষায় হয় চরিত্র গঠন।
বিদ্যার আলয়ে তুমি প্রিয় সবাকার,
শতকোটি প্রণিপাত চরণে তোমার।


সকলে শিক্ষিত হয় তব সুশিক্ষায়,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি তাঁর কবিতায়।


নিরক্ষরতা জাতির অভিশাপ। নিরক্ষরতা জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়। শিক্ষার প্রসার ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। একজন আদর্শ শিক্ষিকা তার শিক্ষাদানের মাধ্যমে জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারেন।
একজন আদর্শ শিক্ষিকা সমাজে বসবাসরত অন্যান্য প্রতিবেশীদের আপদে-বিপদে, রোগে-শোকে, দূর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে নিজেকে ব্যাপৃত রেখে সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল কারখানা আর শিক্ষিকাগণ দক্ষ কারিগর, শিক্ষার্থীগণ হল কাঁচামাল এবং উৎপাদিত মাল হল সুশিক্ষিত আদর্শ দেশ প্রেমিক নাগরিক। শিক্ষাদান ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় শিক্ষিকাগণ প্রধান চালিকা শক্তি ।


শিক্ষিকাগণের মান যত উন্নত হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান ততই উন্নত হবে । পেশাগত জ্ঞান, সততা, নিষ্ঠা, সময়ানুবর্তিতা, নিয়মানুবর্তিতা ও আন্তরিকতা একজন আদর্শ শিক্ষিকার বড় গুণ ।


আজ আমার দ্বিতীয় নিবেদন পরম শ্রদ্ধেয়া শিক্ষিকা শ্রীমতী অঞ্জনা গোস্বামীর উদ্দেশ্যে
উত্সর্গীকৃত আমার কবিতা


হে শিক্ষিকা! (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে -কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


জগতের মাঝে এক তুমি যে শিক্ষিকা,
জ্ঞানের প্রদীপ তুমি আলোক বর্তিকা।
শিক্ষাদান কর নিত্য বিদ্যালয় মাঝে,
দেশহিতে নিয়োজিত জগতের কাজে।


তব সুশিক্ষায় লভে সকলেই জ্ঞান,
দেখাও তাদের পথ হয়ে আগুয়ান।
সাফল্যের চাবিকাঠি তব সুশিক্ষায়,
অজ্ঞান যে সকলেই পথ খুঁজে পায়।


অমর মহিমা তব খ্যাত চরাচরে,
তব প্রেরণায় সবে বিদ্যাভাস করে।
ভালবেসে সবাকারে কর শিক্ষাদান,
শিক্ষকদিবসে আজি জানাই সম্মান।


হে শিক্ষিকা! শিক্ষয়িত্রী, তুমি মহীয়সী,
প্রণতি জানায় তোমা পদতলে বসি।
শিখায়েছ সবাকারে বিদ্যা মহা ধন,
শিক্ষক দিবসে কাব্য লিখিল লক্ষ্মণ।


আজ আমার নিবেদন পরম শ্রদ্ধেয়া শিক্ষিকা শ্রীমতী অঞ্জনা গোস্বামীর উদ্দেশ্যে
উত্সর্গীকৃত আমার কবিতা


হে শিক্ষিকা! (তৃতীয় পর্ব)
কলমে -কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শিক্ষক দিবস আজি পূণ্য শুভক্ষণ,
শিক্ষিকারে কর পূজা ধরি শ্রীচরণ।
শিক্ষাগুরু আশীর্বাদে শিক্ষালাভ হয়,
তাঁহার কৃপাতে হয় সর্ব-শিক্ষা জয়।


শিক্ষাগুরু আশীর্বাদ লভে যেইজন,
তাঁর আশীর্বাদে হয় সাফল্য অর্জন।
শুনহ বিদ্যার্থী সবে বচন আমার,
শিক্ষিকা সর্বত্র পূজ্যা কহিলাম সার।


জ্ঞানের আলোক জ্বালি ঘুচাও আঁধার,
দেখাও আশার আলো জীবনে সবার।
জ্ঞানের ভুবনে তুমি আলোক বর্তিকা,
জ্ঞানের প্রদীপ তুমি প্রজ্বলিত শিখা।


ভালবেসে সবাকারে কর শিক্ষাদান,
শিক্ষক দিবসে আজি জানাই সম্মান।
তব সম সুশিক্ষিকা নাহিক ধরায়,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি এই কবিতায়।