কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী
বইছে অজয় আপন বেগে ( নবম পর্ব)
            কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


পূব আকাশে সোনার রবি
ছড়ায় সোনার আলো,
নদীর চরে আলোক ঝরে
দেখে লাগে খুব ভালো।


নদীর কাছে বটের গাছে
অজয় নদীর পারে,
গাঁয়ের পথে গোরুর গাড়ি
আসে ধেয়ে সারে সারে।


গোরুর গাড়ি নদীর ঘাটে
বটের তলে দাঁড়ায়,
গাড়োয়ানরা দোকানে বসে
চা, চপ, সিঙাড়া খায়।


একটু খানি বিরাম নিয়ে
আবার চালায় গাড়ি,
নদী পরিয়ে ওপারে গিয়ে
দূর গাঁয়ে দেয় পাড়ি।


নদীর চরে দুপুর বেলা
শালিকেরা সব নাচে,
বধূরা কেউ বাসন মাজে
কেউবা কাপড় কাচে।


নদীর ঘাটে সূর্য যখন
ঢলে পশ্চিমের পানে,
পাখিরা সব বাসায় ফেরে
দিবসের অবসানে।


চাঁদের আলো জোছনা ঝরে
অজয় নদীর বাঁকে,
দূরে কোথায় মাদল বাজে
শেয়ালেরা রাতে ডাকে।