মাঠে মাঠে সোনা ধান……. হেমন্তের গান (পঞ্চম পর্ব)
তথ্য-সংগ্রহ, সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


হেমন্ত মানেই হিম হিম কুয়াশা। আর এই কুয়াশার চাদর ভেদ করে উকি দিচ্ছে সকালের সোনারোদ। শিশিরের ভারে হেলে পড়ছে ধানের শিষ। সাথে সাথে কৃষকের স্বপ্নও ঝিলিক দিচ্ছে। হেমন্তের মৃদু বাতাসে দোলা খাচ্ছে ফসলের মাঠ। ধানের শীষের সাথে কৃষকের মনও দোলা খাচ্ছে। চোখে আনন্দের ছাপ। গোলায় উঠবে নতুন ধান। তাই ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণ-বধূ। ক’দিন পরেই পুরো গ্রাম জুড়ে নতুন চালের পিঠার ঘ্রাণে আমোদিত হবে চারদিক।


তবে কিছু কৃষকের কপালে কষ্টের ছাপও রয়েছে। যারা ধার-দেনা করে স্বপ্নের ফসল ফলিয়েছে। তাদের যে ফসল গোলায় ভরা হবে না। দিতে হবে মহাজনকে। আবার ফসল ফলাতে হবে। সে স্বপ্ন নিয়েই কৃষক মাঠে ফলায় সোনার ফসল। রোদ্র, বৃষ্টি, ঝড় মাথায় নিয়ে এগিয়ে যায় তারা।


মাঠে মাঠে সোনা ধান….. হেমন্তের গান
গীতি কবিতা-৫ (পঞ্চম পর্ব)
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


পূবে উঠে সোনা রবি
ছড়ায় কিরণ,
তরুশাখে বিহগের
মধুর মিলন।


নিশির শিশির ঝরে
ঘাসের আগায়,
ফুলের সুগন্ধ ভাসে
ফুল বাগিচায়।


পথের দুধারে হেরি
খেজুরের সারি,
সারি সারি আমগাছ
তাল ও সুপারি।


মাঠে মাঠে সোনাধান
হাসে মিষ্টি হাসি,
সারাদিন ধান কাটে
এ গাঁয়ের চাষী।


ধান বাঁধে আঁটি আঁটি
জড়ো করে রাখে,
ধান লয়ে চলে গাড়ি
রাঙাপথ বাঁকে।


রাখাল বাজায় বাঁশি
রাখালিয়া সুরে,
অজয় নদীর ঘাট
শালবন দূরে।


উড়ে যায় শঙ্খচিল
আকাশের গায়ে,
ওপারেতে ছোট গ্রাম
সবুজের ছায়ে।


সাঁঝের আঁধার নামে
অজয়ের চরে,
চাঁদ উঠে তারা ফুটে
ঝিকিমিকি করে।