আজ মহা নবমী। মহা অষ্টমীর পবিত্রতম সন্ধিপূজার পর আজ মহা নবমীর সূচনা হয়। শারদ-প্রভাতে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গার দ্বারা মহিষাসুর বধের গীতি কবিতার সুরে চণ্ডীপাঠ ধ্বনিত হয়। এই পূণ্য শুভক্ষণে বাংলা কবিতার আসরে আমার কবিতা মহানবমী দুর্গাপূজা প্রকাশ দিলাম।


সর্বভূতা যদা দেবী স্বর্গঃ মুক্তি প্রদায়িনী।
ত্বং স্তুতি স্তুতয়ে কাবা ভবন্তি পরমোক্তয়॥
যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তসৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ॥


বাংলা কবিতার আসরের সকল কবি ও সুধী পাঠকবৃন্দকে জানাই পবিত্রতম মহা নবমীর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


মহা নবমী দুর্গাপূজা
             - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মহা নবমীর পূজা বিদিত জগতে,
নবমীর পূজা হয় শাস্ত্রবিধি মতে।
মন্দিরেতে পুরোহিত বসিয়া আসনে,
করিছেন মন্ত্রপাঠ ভক্তি যুক্ত মনে।


জ্বলিছে প্রদীপমালা ধূপদানে ধূপ,
নবমীতে হেরি মার অপরূপ রূপ।
ধূপদানে পুড়ে ধূপ সুগন্ধ ছড়ায়,
ঢাকীরা বাজায় ঢাক, কাঁসর বাজায়।


শঙ্খধ্বনি উলুধ্বনি বাজিছে কাঁসর,
নবমীর পূজা খ্যাত বিশ্ব চরাচর।
ছাগাদি মহিষ কত হয় বলিদান,
যূপকাষ্ঠে পশুবধ শাস্ত্রের বিধান।


মরো না মেরো না বলি কাঁদে পশুগণ,
বলিহীন হোক পূজা লিখিল লক্ষ্মণ।