পলাশ বনে ফুল ফুটেছে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


পলাশের বনে ফুল ফুটেছে
ফুলের গন্ধে অলি মেতেছে
                     প্রভাত হাওয়া বয়,


শিমূলের বনে ফুটে শিমূল,
আমের বনে আমের মুকুল,
                     সাজে নব কিশলয়।



বসন্তের দূত ডেকে উঠে,
কুসুম কাননে প্রসূন ফুটে,
                    প্রভাত পাখিরা গায়,


রাঙা মাটির পথ চলেছে,
সরানে লাল ধূলো উড়ছে,
                     গরুগাড়ি দ্রুত ধায়।



ফাগুন রাঙা অরুণ প্রভাতে,
তরুর শাখে পাখিরা মাতে,
                       কোকিলের কুহুতান,


শাল পিয়াল বনের মাঝে,
বাঁশের বাঁশি মাদল বাজে,
                      আকুল করে পরাণ।



বাঁশের বনে গলিপথ দিয়ে
বধূরা আসে কলসী নিয়ে,
                     লাল শাড়ি পরা সবে।


নদীর ঘাটে বটের গাছে,
পাখিরা সব শাখায় নাচে,
                      ঘাট ভরে কলরবে।



অজয় নদীর ঘাটের কাছে
নদীকূলে তরী বাঁধা আছে
                      কুলু কুলু নদী বয়,


দুপুর বেলায় অজয় ঘাটে,
ছেলেরা সব সাঁতার কাটে
                       চরে বক বসে রয়।



পড়ে আসে যেই ঘাটে বেলা
শেষ হয় সারা দিনের খেলা,
                       ডুবে যখন তপন,
নদীর ঘাটে নামে আঁধার,
আঁধার কালো নদীর ধার
                        নদীর ঘাট নির্জন।