পৌষ ডাক দিয়েছে....... এসে গেল পৌষমাস
পৌষ-পার্বণের কবিতা (ষষ্ঠ পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


কবিতার মূলভাব- পৌষমাস মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে পুলি হবেই। আর সেই পিঠে পুলির আস্বাদনেই মকর সংক্রান্তিতে মেতে ওঠে আপামর জনগণ। এমনিতেই মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির কাছে পৌষমাসের গুড় আর তা দিয়ে নানান রকমের সুস্বাদু পিঠে বড় পাওনা। পিঠে-পুলি মানেই আদরের, স্নেহের আর ভালবাসার স্পর্শ। খাওয়ার সঙ্গে এই মধুর পরশটুকু জুড়ে থাকে বলেই যেন তা হয়ে ওঠে তুলনাহীন। কত ধরণের উপকরণ দিয়ে তখন তৈরি হয় নানা রকমের পিঠে। পুলিপিঠের মধ্যে থাকে মুগেরপুলি, ভাজাপুলি, দুধপুলি, চন্দ্রপুলি আর সেদ্ধপুলি। অন্য ধরনের পিঠে বলতে, পাটিসাপটা, গোকুলপিঠে, পোস্তর পিঠে, নারকেল পিঠে, সরুচুকুলি, গড়গড়া, পাতসিজা-আরও কত কি।


পৌষমাস আগমনে ভারি ধূম-ধাম,
পিঠেপুলি উত্সবে মেতে উঠে গ্রাম।
পৌষমাসে পিঠেপুলি ভারি ধূম পড়ে,
হরেক রকম পিঠে হয় ঘরে ঘরে।


নারিকেল তিল আর চালগুড়ি দিয়ে,
সবকিছু পুর দিয়ে ভাজা হয় ঘিয়ে।
দুধ পিঠে গুড় পিঠে ও সরু চুকুলি
দুধপুলি, চন্দ্রপুলি আর ভাজাপুলি।


ঢেঁকিতে কুটিয়া চাল চালগুঁড়ি হয়,
নতুন চালের পিঠে সুস্বাদু নিশ্চয়।
হাসি খুশি কলরব সারা গ্রামময়,
পিঠে খাও পেটভরে সকলেই কয়।


ধন্য ধন্য পল্লীগ্রাম ধন্য সব লোক,
দুধপুলি পিঠে খেতে সবাকার ঝোঁক।
পৌষমাসে পিঠে খেতে করি আমন্ত্রণ,
পিঠেপুলি কাব্য লিখে শ্রীমান লক্ষ্মণ।