আজ ৩১ শে অক্টোবর। জাতির জীবনে এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালিত হয়। কারণ এই দিনটিতে ভারতের জাতীয় নেতৃ প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধীর মহা প্রয়াণ ঘটে। তাঁকে তাঁর দেহরক্ষীরা নৃশংস ভাব হত্যা করে। হত্যায় রঞ্জিত এই ভারতের ধূলি। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীও নাথুরাম গডসে নামে এক আততায়ীর হাতে নিহত হন। ইন্দিরা গান্ধীর পর তাঁর পুত্র রাজীব গান্ধীকেও ফুলের তোড়ায় লুকানো বোমার সাহায্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা, খুন আর নিধনযজ্ঞের আহুতি হিসেবে বহু রক্ত এসে মিশেছে পূণ্যতোয়া গঙ্গার বুকে। বদলে গেছে দেশ, মৃত্যু হয়েছে কংগ্রেস সরকারের।  


জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা নীতি ত্যাগ করে সহিংস নীতি প্রয়োগ করে প্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে ভারত। নেতাজীর স্বপ্ন আজ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা বুকের রক্ত দিয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের আমরা আজকের দিনে স্মরণ করি। দেশ গড়ার আজ সময় এসেছে। মানুষে মানুষে জাগরিত হোক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আমাদের পরিচয় আজ আমরা হিন্দু নই, মুসলমান নই, শিখ নই বা খ্রিস্টান নই। আমাদের পরিচয় আমরা ভারত মাতার সন্তান। আমরা ভারতীয়। এটাই আমাদের জাতীয় পরিচয়।


প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধী
                 -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজীব গান্ধীর মাতা,
জাতির জননী তিনি ভারতের ভাগ্য বিধাতা।
একত্রিশে অক্টোবরে ঊনিশশো চুরাশি সালে,
মৃত্যুসংবাদ ঘোষিত হলো সেদিন সন্ধ্যাকালে।


দেহরক্ষীদের গুলিতে যাঁর ঝাঁঝরা হলো বুক,
চিরবিদায় নিলেন তিনি সহি শত দুঃখ সুখ।
বুলেটে ঝাঁঝরা বিদীর্ণ দেহটা পড়ল ভারতভূমে,
নামল দেশে শোকের ছায়া, কান্না আসে নেমে।


দেশের তরে, জাতির তরে সারা জীবন ধরি,
ভারতবাসী সবাই কাঁদে তোমায় স্মরণ করি।
দেশকে গড়ার স্বপ্ন ছিল ইন্দিরা গান্ধীর মনে,
হারিয়ে গেল স্বপ্ন রঙিন কোন এক কুক্ষণে।


ফিরে এসো এসো ফিরে, কাঁদে ভারতবাসী,
তোমার লাগি আজও সবে কাঁদে দিবানিশি।