পুরাতন বিদায়....নতুনের আহ্বান
স্বাগতম ২০২২ বর্ষ (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অন্ধকার ভেদ করে নব সূর্যকিরণ বাংলার প্রতিটি গাঁয়ের মাটির ঘরের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাক। যাপিত জীবনের বিগত বর্ষের যাবতীয় গ্লানি ও কালিমা ভুলে, আসুন রাঙিয়ে তুলি ইংরাজী নতুন বছর-২০২২ কে। দেশ আজ আক্রান্ত, জাতি আজ বিপন্ন, করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে নিজে বাঁচতে আর অপরকে বাঁচাতে সতর্কতা অবলম্বন করে আমার -আপনার- সকলের পরিবারকে সুরক্ষিত করুন। সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন, সবাইকে দূরে রাখুন। ভ্যাক্সিন নিন। অপরকে ভ্যাক্সিন নিতে উত্সাহিত করুন। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান। সুস্থ থাকুন, আর অপরকে সুস্থ রাখুন। বাংলা কবিতার আসরের সকল কবি ও পাঠকগণকে জানাই শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

নব হর্ষে বর্ষে বর্ষে নববর্ষ আসে,
পুরাতন বর্ষস্মৃতি স্মৃতিপটে ভাসে।
প্রভাতে নতুন রবি ছড়ায় কিরণ,
তরুশাখে পাখিদের মধুর মিলন।

কুসুম কাননে ফুটে ফুল কলি সব,
নীড়ে নীড়ে পাখিসব করে কলরব।
নববর্ষে প্রফুল্লিত সবাকার মন,
উল্লাসে সকলে করে প্রীতি-সম্ভাষণ।

শুভ নববর্ষ বলি প্রীতি বিনিময়,
সুমধুর ব্যবহারে সবে প্রীত হয়।
নববর্ষে হর্ষ জাগে খুশিতে সবার,
শুভ নববর্ষ তাই বলে বার বার।

নববর্ষে নব রূপে মনে জাগে আশা,
নব নব স্নেহ প্রেম প্রীতি ভালবাসা।
নববর্ষ ভালো যেন কাটে সবাকার,
প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর লহ নমস্কার।

কবিতা আসরে যত সুধী কবিগণ,
সশ্রদ্ধ প্রণাম মোর করুন গ্রহণ।
আমার প্রণাম লহ সুধী গুণীজন,
বর্ষকাব্য লিখে কবি ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।