রবীন্দ্রনাথ বহু আগেই লিখে গিয়েছেন, ‘প্রেম লিখিতেছে গান কোমল আখরে- অধরেতে থরে থরে চুম্বন লেখা।‘ করোনা কালে এই কবিতার লাইন অপ্রাসঙ্গিক হলেও, প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে তা চিরন্তন ।  প্রসঙ্গত, ভ্যালেন্টাইন ডে সপ্তাহের মধ্যেও একটি কিস ডে হিসেবে পালন করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি কিস ডে হিসেবে পালন করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। জীবনে রোম্যান্স আনতে, শরীরের রোগভোগ তাড়াতে এই লকডাউনে ধুমধাম করে চুম্বন দিবস পালন করার পরামর্শ দিচ্ছেন মনবিদ থেকে চিকিত্সকরা। কারণ, সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শুধু শরীরে উদ্দীপনার প্রয়োজনে নয়, সঙ্গীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও চুম্বন করা আবশ্যিক । পারস্পরিক চুম্বনে ইমিউনিটি বাড়ে। জন্মগত চোখের সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু জন্মগত জটিল রোগও সেরে যায়। ঠোঁটের সংস্পর্শে সাইটোমেগালোভাইরাস শরীরের নানা উপকার করে। তাই বলা হচ্ছে অন্তসত্ত্বা অবস্থাতেও এই অভ্যাস জারি রাখলে হবু সন্তানের জিনগত কোনো ত্রুটি থাকে না।চুম্বন যেকোনো সম্পর্ককে আরও গভীরে যেতে সাহায্য করে। ঠোঁট, চিবুক, জিভে জিভ ঠেকিয়ে গভীর চুম্বনে শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়। ফলে আপনি আপনার প্রিয়জনের একটা গন্ধ পান। সেখান থেকেই তৈরি হয় গভীর বন্ধন। হৃদয়ের অটুট বন্ধন ভালবাসা। দুটি অভিন্ন হৃদয় এক হয়ে যায়।এর নাম পবিত্র ভালবাসা।


প্রেম-ভালবাসা ও বন্ধুত্বের সাথে ভালবাসা সপ্তাহ
সপ্তম দিবস- সপ্তম পর্ব- চুম্বন দিবস
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

চুম্বন দিবস আজি কহে সর্বজন,
চুম্বন মাহাত্ম্য কথা করিব বর্ণন।
পবিত্র  দিবসে শুন বচন আমার,
চুম্বন চুম্বক সম কহিলাম সার।

চুম্বকে চুম্বকে যথা করে আকর্ষণ,
যুবক-যুবতী করে প্রেম আলাপন।
ভালবাসা বিনিময় মাধ্যম চুম্বন,
চুম্বনের ভালবাসা রহে অনুক্ষণ।

চুম্বন দিবস আজি, পূণ্য শুভক্ষণে,
চুম্বনে চুম্বনে রত থাকে প্রিয়জনে।
বিপরীত মেরু করে দোঁহে আকর্ষণ,
সম মেরু দোঁহাকারে করে বিকর্ষণ।

বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা জানিহ নিশ্চয়,
কবিতায় কহে কবি মিথ্যা কভু নয়।
চুম্বন দিবস কাব্য করি সমাপন,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি পড়ে সর্বজন।