দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরও মেটে না বাঙালি সমাজে ধর্মীয় উত্‍সবের পালা। দীপাবলির পরে যে ধর্মীয় উত্‍সবকে ঘিরে এই রাজ্যের কোনও কোনও জায়গার মানুষ মেতে ওঠেন, তা হল জগদ্ধাত্রী পুজো। প্রধানত কৃষ্ণনগর ও চন্দনগরে দুর্গাপুজোর মতোই ধূমধাম করে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে থাকে। রাজ্যের অন্যত্র এতটা ধূমধাম করে না হলেও গত বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন অঞ্চলে এই পুজোর প্রচলন হয়েছে। বারোয়ারি পুজোর পাশাপাশি অনেক বাড়িতেও জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করা হয়।


চন্দননগরে দুর্গাপুজোর মতো জগদ্ধাত্রী পুজোও চার দিন ধরে চলে। তবে অনেক জায়গায় শুধু নবমীর পুজোই করা হয়ে থাকে। কৃষ্ণনগরেও শুধু নবমী তিথিতেই দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা করা হয়। এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নবমী তিথি পড়েছে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবারে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওডিশার নানা অঞ্চলেও জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে থাকে।


শুভ জগদ্ধাত্রী পূজা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


জগদ্ধাত্রী দেবী তুমি জগতের মাতা,
চতুর্ভূজা রূপে তুমি জগতে পূজিতা।
সিংহ বাহিনী দেবী তুমি ত্রিনয়নী,
জগৎ জননী তুমি পরম যোগিনী।


নদীয়ার অধিপতি কৃষ্ণচন্দ্র নামে,
প্রথম করিল পূজা এই ধরাধামে।
সপ্তমী অষ্টমী আর নবমীর পূজা,
সেই হৈতে হয় পূজা দেবী চতুর্ভূজা।



জ্যোতির্ময়ী রূপে তুমি পূজিতা ভুবনে,
সকলেই করে পূজা ভক্তি যুক্ত মনে।
জগত্পালিনী মাগো তুমি মহামায়া,
রাখ মা সন্তানে তব দিয়ে পদছায়া।


শুক্লপক্ষে দশমীতে দেবী বিসর্জন,
কবিতা লিখিল কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।