গণেশের জন্ম নিয়ে পৌরাণিক তথ্য
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


দেবী পার্বতী তাঁর শরীরের ময়লা থেকে গণেশকে তৈরি করলেন। তারপর নব্যসৃষ্ট গণেশকে দ্বার রক্ষার ভার দিয়ে তিনি স্নান করতে গেলেন, গণেশকে বলে গেলেন কেউ যেন এসময় এখানে না প্রবেশ করেন। শিব তখন ছিলেন না। তিনি এসবের কিছুই জানতেন না। তিনি ঠিক সেই সময়েই বাড়ি ফিরছিলেন।


এদিকে শিবকে তো আর গণেশ চেনেন না। ফলে মায়ের নির্দেশ মেনে তিনি শিবকে ঢুকতে দিলেন না। ক্রুদ্ধ শিব গণেশের মাথা কেটে দিলেন। এসব দেখে পার্বতী ভয়ানক রেগে গেলেন। শিব সবটা জেনে অনুতপ্ত হলেন এবং তিনি পার্বতীকে কথা দিলেন, তিনি গণেশকে জীবন্ত করে তুলবেন।


দেবতারা উত্তর দিকে মাথা করে থাকা যে কোনও জীবের সন্ধানে বেরোলেন। তাঁরা একটি হাতি পেলেন। তার মাথাই নিয়ে এলেন। শিব গণেশের শরীরে সেই মাথা বসিয়ে গণেশকে জীবন্ত করলেন। বাংলা কবিতা আসরের সকল কবিগণ ও সহৃদয় পাঠকবর্গকে জানাই সুন্দর ও বর্ণময় শুভ গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা। এই উৎসব সবাকার জীবনে অনেক হাসি ও আনন্দ বয়ে আনুক। জয়গুরু!


শুভ গণেশ চতুর্থী (প্রথম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


গণেশ চতুর্থী আজি পূণ্য শুভদিনে,
মৃন্ময় গণেশমুর্তি নিয়ে এস কিনে।
সম্মুখে মঙ্গল ঘট করিয়া স্থাপন,
বিধিমতে করা হয় গণেশ পূজন।


ভাদ্রমাস শুক্লপক্ষে চতুর্থী তিথিতে,
গণেশ পূজায় উঠে সকলেই মেতে।
মৃন্ময় মূর্তিতে প্রাণ সৃষ্টি করা হয়
বিঘ্ন বিনাশক নামে সকলেই কয়।


নমো নমঃ গজানন বিঘ্ন বিনাশন,
শুক্লপক্ষে চতুর্থীতে করি আবাহন।
গণেশের পূজা হয় সবার অগ্রেতে,
পূজার্চনা, মন্ত্র পাঠ হয় বিধি মতে।


পূজান্তে প্রসাদ ভোগ হয় বিতরণ,
গণেশ পূজন কাব্য লিখিল লক্ষ্মণ।