শীতের স্নিগ্ধতায় শীতের সকাল …শীতে কাঁপে অজয়ের চর
শীতের চাদরে  ঢাকা আমার কবিতা (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শীতের সকালে যখন ঘন কুয়াশায় সবকিছু ঢেকে যায় তখন প্রকৃতিকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। ... কুয়াশার চাদর সরিয়ে সোনালী সূর্য যখন উঁকি দেয় তখন স্নিগ্ধ আলোয় ঝলমল করে কুয়াশায় ভেজা প্রকৃতি। খুব অপরূপ লাগে কুয়াশা ঝরা শীতের সকাল।


শীতের সকালে যবে হিম পড়ে ঘাসে,
সকালের সোনা রবি পূব দিকে হাসে।
সোনারোদ পড়ে ঝরে মাটির উঠানে,
বধূরা ঢেঁকিতে চড়ি দেখি ধান ভানে।


রাঙাপথে ধারে ধারে তাল ও খেজুর,
খেজুরের রস থেকে তৈরি হয় গুড়।
পথের ধারেতে এক মুদির দোকান,
পাশে তার বীনামাসী বেচে মিঠাপান।


শীতের সকালে দেখি বাগদী পাড়ায়,
কাঠের আগুন জ্বেলে আগুন পোহায়।
পথের কুকুর যত দৌড়াদৌড়ি করে,
পাশে তার দিঘিজলে হাঁসগুলি চরে।


অজয়ের নদীচরে শীতের সকাল,
গরু নিয়ে পার হয় গাঁয়ের রাখাল।
নদী তীরে সুশীতল দৃশ্য মনোরম,
লক্ষ্মণ লিখিল ছন্দে কাব্য অনুপম।