শ্রাবণের বাদল দিনে....... বৃষ্টি ঝরে আপন মনে
শ্রাবণের বর্ষণসিক্ত কবিতা (অষ্টম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শ্রাবণের দুরন্ত বর্ষা আমাদের সকলের মধ্যে শিল্প এবং প্রকৃতির মাঝে লুকানো সৌন্দর্যকে জাগিয়ে তোলে। প্রবল বৃষ্টিতে সুজলা মাটির মায়াবী সুবাস, মাটিতে ঝরে পড়া ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির আনন্দ আর মাটিতে বৃষ্টির উত্তেজনা, আকাশে বিদ্যুতের চমক আর বৃষ্টির পর মেঘে ঢাকা আকাশ আর চারদিকে প্রকৃতির সবুজের রূপ। মনে হয় প্রকৃতি যেন কোনো কারুশিল্পীর স্পর্শে সুন্দর পরিবেশ মনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করে তোলে। শ্রাবণের দুরন্ত বর্ষায় কবির কলমে ফুটে উঠেছে শ্রাবণের বাদল দিনে কবিতাটি।


দুরন্ত বরিষা নামে অঝোর ধারায়,
বিজুলি চমকি উঠে আকাশের গায়।
কড়কড় রবে মেঘ ডাকিছে অম্বরে,
শ্রাবণে বাদল ধারা অবিরাম ঝরে।


দারুণ বাদল ঝরে ঘন মেঘ সাদা,
বর্ষায় রাস্তায় জমা জল আর কাদা।
ছাতা নিয়ে বরষায় আসে মধু রায়,
জলে ভিজে বরষায় চাষী মাঠে যায়।


অজয়ের খেয়া ঘাটে যাত্রীদের ভিড়,
চরে বাঁধা নৌকাখানি অজয়ের তীর।
মাঝি নাই ঘাটে বন্ধ খেয়া পারাপার,
ঘনমেঘ কালো করে আছে চারিধার।


অজয়ে প্রবল স্রোত আজি বরষায়,
শ্রাবণে লক্ষ্মণ কবি লিখে কবিতায়।