শ্রী শ্রী মহালক্ষ্মীর ব্রতকথা ও ধর্মীয় কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এই দিনটা বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশ্বিন মাসের শেষে শারদ পূর্ণিমা তিথিতে এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আরাধনা করা হয়। প্রতিটা ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাঙালিরা। লক্ষ্মী দেবী হলেন ধন-সম্পত্তির দেবী। সারাবছর ধন-সম্পদের কোনও অভাব হয় না যদি নিষ্ঠাভরে এক মনে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। এছাড়াও প্রতি বৃহস্পতিবারই লক্ষ্মী দেবীর পুজো করা হয়। তবে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথির এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম বিধি রয়েছে। যা মেনে চললে অর্থ সম্পত্তির কোনও অভাব আসবে না।


শ্রী শ্রী মহালক্ষ্মীর ব্রতকথা
ধর্মীয় কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শারদ পূর্ণিমা তিথি পূণ্য শুভক্ষণ,
ঘরে ঘরে মহালক্ষ্মী পূজা আয়োজন।
সুসজ্জিত বেদী পরে লক্ষ্মীর প্রতিমা,
বিশ্ব জুড়ে খ্যাত যাঁর অমর মহিমা।


ধান দূর্বা ফুল মালা সুগন্ধি চন্দন,
ঘৃত, মধু গঙ্গাজলে লক্ষ্মীর পূজন।
ধূপ দীপ শঙ্খ আদি সযতনে রাখা,
সম্মুখে মঙ্গল ঘট তাহে আম্রশাখা।


সুমিষ্টান্ন ফলমূল নারিকেল আর,
আপেল কমলা লেবু ফলের প্রকার।
দাড়িম্ব কদলী আর সাথে সিন্নিভোগ,
গুড়ের বাতাসা তাতে করা হয় যোগ।


নির্মল বিশুদ্ধ জলে করি আচমন,
করিছেন মন্ত্রপাঠ পূজারী ব্রাহ্মণ।
পরিশেষে হোম-যজ্ঞ হয় বিধিমতে,
পূজান্তে অঞ্জলি দেয় সবে একসাথে।


খিচুড়ি প্রসাদ ভোগ সুস্বাদু ব্যঞ্জন,
সকলেই একসাথে করয়ে গ্রহণ।
মালক্ষ্মীর ব্রতকথা হল সমাপন,
কবিতা লিখিল কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ