স্বর্গের লক্ষ্মী ও মর্ত্যের লক্ষ্মী
কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


স্বর্গের লক্ষ্মী মর্ত্যে এসে পূজা পায় প্রতি ঘরে,
মর্ত্যের লক্ষ্মী অন্নহীনা চোখ আসে জলে ভরে।
স্বর্গের লক্ষ্মী মর্ত্যে এলে হয় শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা,
মর্ত্যের লক্ষ্মী পথেপথে ঘুরে দুনয়নে অশ্রুভরা।


স্বর্গের লক্ষ্মীর স্বর্ণ-কুম্ভে পূর্ণ ধনরত্ন রাশিরাশি,
মর্ত্যের লক্ষ্মী লাজ বাঁচাতে গলায় পরে ফাঁসি।
স্বর্গের লক্ষ্মী বিষ্ণুলোকে দিন কাটে তার সুখে,
মর্ত্যের লক্ষ্মী ভিখারিণী দিন কাটে তার দুঃখে।


লক্ষ্মী-হীনা ধরিত্রীর বুকে লক্ষ্মীরা আজ কাঁদে,
পতিহীনা লক্ষ্মীর সন্তানের দায়িত্ব তার কাঁধে।
পুত্রহারা বিধবা লক্ষ্মীর চোখ ফেটে আসে জল,
হয়েছে সময় দেরি নয় জাগো লক্ষ্মীমায়ের দল।


কবিতা আমার ক্লান্ত আজি বিদ্রোহী কবির কলম,
লক্ষ্মীর ঝাঁপি শূণ্য কেন আজি? কহে কবি লক্ষ্মণ।