মকর সংক্রান্তি আসছে... ঘরে ঘরে টুসুপূজা
প্রচলিত টুসুগান ও গীতিকবিতা (চতুর্থ পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


জনশ্রুতি এই যে, মানভূমির এক রাজার কন্যা টুসুমনিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এক মুসলিম নবাব। টুসুর বাবা ভিনজাতের বিয়েতে রাজি হননি। রেগে গিয়ে টুসুমনির রাজ্য আক্রমণ করলেন নবাব। সন্মান বাঁচাতে নদীর জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন টুসু। আবার কেউ বলেন, টুসু আসলে লক্ষীর লৌকিক রূপ! গবেষকরা বলেন, 'টুসু পরব' বা 'মকর পরব' হল পৌষালি নবান্ন। সংক্রান্তির রাতভর বাড়িতে টুসু পুজোর আয়োজন করা হয়। ফল, পিঠে, খই, মুড়কির নৈবেদ্য সাজিয়ে এক রাতে ষোলোবার টুসুমণির পুজো করে কুমারী ও বিবাহিতা মহিলারা। সারারাত টুসু গান শুনিয়ে ‘জাগিয়ে রাখা’ হয় সমৃদ্ধির দেবী টুসুমণিকে। পরদিন হয় টুসুর ভাসান। এ দিন সকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে টুসুর মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয়। ভাসানের পরে সেখানেই স্নান সেরে নতুন জামাকাপড় পরার রেওয়াজ রয়েছে।


টুসু তোমার তরে.......
রসগোল্লা এনেছি মালসায় ভরে।


বর্ধমানের মিষ্টি ভালো গো মিহিদানা সীতাভোগ,
শক্তিগড়ের ল্যাংচা ভালো টুসুমা খাবে গোপাগপ।


টুসু তোমার তরে.......
রসগোল্লা এনেছি মালসায় ভরে।


জামুড়িয়ার কদমা ভাল দোমাহানি জিলাপি,
আসানসোলের পান্তুয়া বলো টুসু খাবে কি।


টুসু তোমার তরে.......
রসগোল্লা এনেছি মালসায় ভরে।


পাথরচুড়ের লেডিকিনি হিজলগড়ার বাতাসা,
লালবাজারের মিষ্টি দই খেলে মিটিবে আশা।


টুসু তোমার তরে.......
রসগোল্লা এনেছি মালসায় ভরে।


সিউড়ির মোরব্বা ভালো দুবরাজপুরের মণ্ডা,
লবসনের মিষ্টিদই খেলে টুসু পেট হবে ঠাণ্ডা।


টুসু তোমার তরে.......
রসগোল্লা এনেছি মালসায় ভরে।


রাণীগঞ্জের চিত্তরঞ্জন ভালো বরাকরের সন্দেশখাজা,
সীতারামপুরে ছানার সন্দেশ খেতে লাগে খুব মজা।


টুসু তোমার তরে.......
রসগোল্লা এনেছি মালসায় ভরে।