আমার ঘরের পাশে ডালিম গাছে
বুলবুলি পাখি বাসা বেঁধেছে,
আমি ঝরোকা খুলে প্রতিদিন দেখি
মাধুরী কূজন করে ডালে বসে।
জানো! এই বৃষ্টিতে ভিজে গেছে
ওদের অনেক সাধের নীড়,
কোথায় যাবে কি করিবে এই ভাবনায়
বুলবুলি’রা চিন্তায় অস্থির।
আজ হঠাৎ ঝরোকা’র দিকে তাকিয়ে দেখি
বুলবুলি এসেছে আমার ঘরে,
আগে কখনও আসেনি কতবার ডেকেছি
কত রকম বিনয় করে।
সারা অঙ্গ বৃষ্টির জলে কাঁপছে থর থর
চুপটি করে বসে বারান্দায়,
ভাবছে বোধ হয়, আমার অনেক সাধের ঘর
ভেঙ্গে দিলো ঝড় ও বৃষ্টি
আমি এখন কোথায় নিবো ঠাঁই।
আমি কাছে গেলে তো উড়ে যাবে চলে
কেমনে ঘোচাবো ওর মনের বেদন,
ভীষণ খারাপ লাগছে আমার দেখে
বুলবুলি’র সর্বহারা রোদন।
বুলবুলি কিছুক্ষণ পর উড়ে চলে গেলো
আমার ঘরের বারান্দা ছেড়ে,
ডালিম গাছটা আজও একা রয়ে গেলো
সে ঐ যে গেলো কভু আর এলো না ফিরে।
আমি সকাল বিকাল চেয়ে থাকি
ঐ ডালিম গাছের পানে,
পাখি আসবে ফিরে এই ভেবে মন
দিবা নিশি শুধু যায় যে প্রহর গুণে।