কে গো তুমি অপরূপা অপূর্ব রূপবতী?
এই বিকেলে এলো চুলে আসিয়া নদীর কূলে,
তোমার শাড়ীর আঁচল খানি উড়িয়ে দিলে
এখন শুধু দক্ষিণ হাওয়ায় দোলে।
এমন চাঁদের তুল্য চাঁদ বদনী আমি দেখিনি তো আগে,
দেখিয়া তোমার রূপ মনে শুধু পাওয়ার তৃষ্ণা জাগে।
কোন পাড়াতে থাকো তুমি কোথায় তোমার ঘর?
সেই খানেতে যাব তোমায় দেখিতে বার বার।
তুমি ঘোমটা পড়ো আঁচল দিয়ে ঢাক তোমার রূপ,
দেখো, এই প্রকৃতি টা থমকে গেছে দেখিয়া ঐ রূপ
শুধু চেয়ে আছে তোমার পানে একদম নিশ্চুপ।
নদীর পানি দেখে তোমায় করছে ছল ছল,
আমি উন্মাদ দেখে ঐ টানা টানা চোখের টলমল।
ওগো নেবে কি আমায় সঙ্গে তোমার করিয়া সহচর,
আজীবন থাকিব সঙ্গে তোমার, তুমি খুলো প্রণয়ের দ্বার।
ভালো লেগেছে তোমায় তাই বেধে ফেলেছি হৃদয়ের বন্ধনে,
রাণীর মত সাজিয়ে তোমায় রাখিব অতি যতনে।
হরিণ চোখে দৃষ্টি মেলে তুমি করনা এমন আড়ি,
বলো তোমায় রেখে আমি কেমনে যাব বাড়ি?
আকুল মিনতি করে গেলাম আজ ভাবিও একটি বার,
কাল আসিয়া বলিও তুমি কি হবে আমার ।