করিম মিয়ার একটাই নাবালিকা মেয়ে
এগারো বারো বয়স মাত্র,
বিয়ে দিবে তাই সারা গাঁয়ে তে খুঁজছে
ভালো একখান পাত্র।
নাবালিকা এ বিয়ে তে রাজি নয় লেখা পড়া
করে হতে চাই অনেক বড়,
কান্না ভেজা মুখে বাবাকে বলে, বাবা তুমি শুধু
একবার বুঝতে চেষ্টা করো।
ঐ যে পাশের গাঁয়ে কাশেম চাচার মেয়ে
হয়েছে মস্ত অফিসার,
আমিও হবো তাহার মত বাবা বিয়ের কথা
তুমি মুখে নিও না আর।
চুপকর! পেটে ভাত নাই লেখা পড়া করে হতে
চায় আবার মস্ত অফিসার,
এখন যেটা বলি সেটা মন দিয়ে শোন, কাল
ছেলের বাবা আসবে আমার বাড়ি,
তোকে দেখবে ওরা থাকিস যেন পরিষ্কার
পড়িয়া লাল শাড়ি।
নাবালিকা দেখে মহা খুশি তারা বিয়ের
দিন তারিখ ঠিক হয়ে গেলো,
আগামী শুক্রবার এক লক্ষ্য টাকার যৌতুকে
নাবালিকার বিয়ে হলো।
যৌতুক দিতে তিন মাস সময় নিলো
করিম মিয়া ওদের কাছে,
এই তিন মাস নাবালিকা প্রতি রাতে ঘুমায়
মাটিতে শুয়ে, ঠাঁই মেলেনি স্বামীর পাশে।
তিন মাস পরে যুদ্ধ নামিলো নাবালিকার
সহজ সরল জীবনে,
দিন রাত ধরে অত্যাচারিত হয়ে এখন শুধু
প্রতি দমে দমে মৃত্যু প্রহর গুণে।
নাবালিকার স্বামী নেশা করে এসে যখন
টাকার কথা বলে ,
বাবা তো গরিব টাকা পাবে কোথায় একথা বলাতে
রশি ঝুলিয়ে গলে নাবালিকা মেরে ফেলে।
বাবা এসেছে মেয়ে দেখিতে হাতে নিয়ে কত
মধুর সুস্বাদু খাবার,
গিয়ে দেখে মেয়ে বারান্দা তে শুয়ে আছে দেহে
একটা চাদর মোড়ানো তার।
প্রশ্ন করলো কি হয়েছে আমার মেয়ের
এমন করে শুয়ে আছে বা কেন?
জামাই কোথায় গেছে ও যে মরে যাবে ওকে
হাসপাতালে নেয়নি কেন?
গ্রামবাসী কয় যৌতুকের জন্য বউ মেরেছে
গত রাতে গলায় ঝুলিয়ে রশি,
বাবার মুখে বোল নেই নিথরে পড়ে গেলো
মেয়ের লাশের পাশে,
চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে কয় মারে তোর
স্বপ্ন ছিলো সত্য মাগো আমার টা যে মিছে।