মা! তোরে আজ একটা কথা কমু একটু শোন
জানিস মা! তুই যে বাড়িতে কাজ করিস
সে বাড়িতে একটা কুকুর পালিত হয়,
সে কুকরটাকে খুব যত্নে রাখে বাড়ির মালিক,
একটুও অবহেলা করেনা তিন বেলায় খেতে দেয়।
আর আমার অনাহারে অনাদরে একলা ঘরে দিন কাটে,
দিনটা কিভাবে কাটে জানিস? চৈত্র খরা জমিনে
পড়লে অসহায় মাটি টা যেমন ফাটে,
মারে! আমি তো অবুঝ শিশু আমারে রাইখা
চলে যাস তুই সেই আযান দেওয়া ভোরে,
নিত্য দিন তোর দুধের বাটে দুধ শুকিয়ে যায়
কিন্তু তা খাইতে দিসনা মোরে।
মাঝে মাঝে আমার খুব সাধ হয় তোর মালিকের
ঐ কুকুর টা আমি যদি পারতাম হতে,
তাইলে বোধ হয় তুই আমারে মালিকের
আদেশে তিন বেলায় দিতি খাইতে।
রাতে বাড়ি এসে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাস
আমিও থাকি তোর পাশে,
আমার ঘুম নেই চোখে মনে হয় এই যেন মা
আমারে আদর করিবে জড়িয়ে নিবে কোলের কাছে।
মা তুই আমারে জন্ম দিলি কেন রে ?
কেন বা করিস আমারে এতটা অবহেলা?
আর কতকাল তুই বিহনে আমি থাকবো একলা।
মা! আমি তোর সঙ্গে থাকবো তুই যেথায় যাবি
আমি সেথায় যাব তবুও আমারে দূরে রাখিস না
তোর পাশে রাখিস সারাক্ষণ,
আর পারছিনা মা, আমি আর চাইনা
আমার এই অবহেলিত জীবন।