মধুরিমা, আর যদি কোনোদিন না হয় আমাদের দেখা
আর যদি না হয় কথা, না হয় নিরালায় একটু বসা
আজ এখানে আমি যেরকম একা তুমিও রইলে একা
মধুরিমা, তবু কি অটুট থাকবে আমাদের ভালোবাসা?
আজ খুব জানতে ইচ্ছে করে আমার কথা কি মনে পড়ে?
গোধূলির মুহূর্তে ইট পাথুরে গড়া শহরটাকে ছুঁয়ে
নিভৃত করিডোরে বসে কফির পেয়ালা এক হাতে ধরে
উদাস হাওয়াই বাহিরে শান্ত সকালের স্নিগ্ধতা ধুয়ে?
মধুরিমা, মনে কি পড়ে মৌন প্রাণবন্ত সেই দিনগুলি
এক পশলা বৃষ্টির পরে রংধনু ধরার ব্যর্থ চেষ্টা
প্রজাতির রঙিন ডানার খোঁজে ভেঙে ফেলা রং তুলি
ভাঙাচোরা স্বপ্ন সাজানোর জন্য বার বার অকুন্ঠ তেষ্টা
মধুরিমা, মনে পড়ে কচি ঘাসের ডগায় শিশির গোনা?
দেবদারু পাতার আড়াল করে খুনসুটির লুকোচুরি
একসাথে হেমন্ত বাস, নীলাকাশে ছড়ানো নীলার কণা
অবাঞ্ছিত কথার রেশ ধরে আমার সে মিথ্যে বাহাদুরি।
আজো পাওয়া যাবে খুঁজলে স্পর্শের অমলিন চিহ্ন রেখা
সূর্যাস্তের প্রবাহ পথে, হালকা শীত লাগার সন্ধ্যারাতে
বহু শ্রাবণে চাপা পড়েছে বহু ময়ূর ময়ূরীর কেকা
তবু মনে হয় কিছু ঘ্রাণ রয়ে গেছে সূর্যোদয়ের সাথে।
মধুরিমা, আবার যদি কখনো উঠে আসে সেই সুপ্ত স্পর্শ ঘ্রান
হানা দেয় করিডোর বিবাগী কাব্যমালার পঙক্তি গুলি
করতে চাইবে কি ফেলে যাওয়া হারানো দিনের সন্ধান
হয়ত এখন আর নেই সেই শুকিয়ে যাওয়া দিনগুলি।
মধুরিমা, দাঁড়াতে বললে কি তুমি আবার ঘুরে দাঁড়াবে
যদি হয় স্বপ্ন দেখার দুইটি চোখ গভীর জলাশয়
আরেক বার কি বাকরুদ্ধ হবে, আরেক বার কি ভাববে
কতটা স্বার্থক ছায়া নিয়ে বেঁচে থাকার মিথ্যে অভিনয়?