যে আমাকে দেখেছিল, সেও এক অস্পস্ট রঙের কালো তারা
যার মধ্যে ঘূর্ণিপাকে হারিয়ে গিয়েছে ছায়াপথও
সময়ের পদক্ষেপ ও ঋজুতা হারিয়ে একেবারে
ভাঁজ হয়ে বক্রগতি কুটিল পাতার গায়ে গায়ে
আঁট হ’য়ে বসে আছে ,আর এক জ্বলন্ত উনুনে  
তিজেল বসিয়ে যেন,গ্রহ-নক্ষত্রাদি দিয়ে
তরকারি ফোটাচ্ছেন দেবতারা!
তার-ই মধ্যে ঠান্ডা হাওয়া! হাওয়াহীনতার মধ্যে যেন ভাসমান
অদেখা চোখের আলো ধুলো  হ’য়ে গড়ে নেওয়া  ভূখণ্ড তখন
আমাদের ছলা-কলা, বড় হওয়া , আরো বড় হ’তে গিয়ে সংঘর্ষ এমন;
যার জন্য ঘূর্ণিপাক, যার জন্য এরকম বামনাবতার রূপ
টেনে নিচ্ছে আমাদের মাংস-মেদ আলো সহ ঘোর অন্ধকারও
যতই কটুক্তি করো এই লেখাটিকে নিয়ে, চাই কী লেখক কে যদি মারো
তবু সে অদৃশ্যমান সময়ের বক্রগতি
থমকে দিয়ে আজ আর মুক্তি নেই কারো!