যখন  সবাই  মগ্ন  নিজেদের খেলাঘরে , নিজের মতন
সমস্ত শেখানো ঘোড়া ছুটে যাচ্ছে মারমুখী, দখল - দখল  
হলাহল , কালকূট, বিষের ছোবল আর জ্বলন্ত সিসের
তীক্ষ্ণ কামড় নিতে, আর কোনও নীলকণ্ঠ এগিয়ে আসেনি !
তবু জেগে উঠেছিল তার অ-মানুষী চিৎকার নাভিমূল বেয়ে ,
গা গুলিয়ে উঠেছে সবার ,পাক দিচ্ছে যেন আরও ভিতরে ভিতরে !  


সম্রাজ্ঞী তোমার পায়ে ঢেলে দেওয়া ফুল-ফল উগরে দিতে চেয়ে ,
পাক খাচ্ছে ক্রমাগত অসুস্থ জঠর, আর তার তীব্রতায় কাঁপছে                                শরীর...
ওয়াক-----ওয়াক থুঃ  গা গুলোচ্ছে ,ওহ্ কী সম্মান না করেছি    তোমায়
‘শান্তির ছেলে/মেয়ে ’ অথবা সে ‘ ৫ অক্ষরে’ কখনো ডেকেছি ?
তবু তুমি খুশি নও! অদ্ভুত তো ! সব-ই তোমার চাই,মাথা-ধড়-মুণ্ডু-পেট
-পোটা-কাঁটা-পিত্ত স-অব ! ফেলবে না কিছু,চুল ও পালক,আকাঙ্ক্ষা নিবিড়  


বলেছি যা বহুবার, বহুজনে,বহু কালে,কারোর বলার আগে,সেই কথাগুলো  
শ্যামলকান্তিকে না তাপসের উত্তর-চব্বিশে,একটু অন্যভাবে খুঁড়ে খুঁড়ে  
তোলা এবং এ দেখে নেওয়া ,তোমার বলার পর-ই সেই কথাগুলো কত
মহিমান হয় ! ফেরে মুখে মুখে ! তবু পরাজয়-ভয়,গা গুলোচ্ছে, গুলোচ্ছে গা
ইঞ্চি ইঞ্চি স’রে যাচ্ছে,উত্তর গোলার্ধ থেকে আজকের এ অবস্থান ক্রমে ক্রমে
দক্ষিণের দিকে ভাসমান ; নীলতারাটির এ অতীত  বা বর্তমান ধর্মে  নাবিক  
পর্যটন প্রিয়; মানুষের জিজ্ঞাসা অসীম, কী, কী আছে ভিতরে? কঠিন-তরল    
ধাতু , ধাতু অবশেষ,তেজস্ক্রিয়, বিশুদ্ধ বা অ-পরিশোধিত,তা-ও
যা আছে শাড়ির ভাঁজে, খাঁজে-খোঁজে , উপরে  বা নীচে
আদি গুল্মময় লতা ,ফুটন্ত তরল, খোলো সব, লুটি প্রাণ ভ’রে আজ  মায়ের আঁচল ! ‘অসভ্য, অসভ্য’ বলে আমাকে না ধমকে দেখ কীর্তি তোমাদের !


‘লিখতে হ’লে ভদ্র ভাষায় লিখুন’ –হ্যা মশাই ! আপনি কি কোনও দিন
অর্থ বুঝেছেন?কোনও কবিতার?কখনো কী সে লেখাটি লিখতে পেরেছেন;--
যার জন্য আলো আসবে ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে,লাঞ্ছিত হ’বে না
কোনও মহিলা,পুরূষও? যদি না পেরে থাকেন তো চেষ্টা ক’রে যান  
যে ভাবেই হোক  যত  আলো মাখা যায় গা-য়ে, ইতর এ লেখাটি থেকে  
নজর সরিয়ে,সঁপে দিন মন-প্রাণ  সম্রাজ্ঞীর পায়ে , যিনি এক নজরেই
অনায়াস চিনে নেন --- ভালো না খারাপ ! বাল্মীকির  চেয়ে বড়,পিকাসোর
চেয়ে দামি , চে’র চেয়ে আরো বড় বিপ্লবী মহান , তাঁর উদ্দেশে প্রণাম ,
তার-ই জন্য নড়া-চড়া, ধাক্কা-ধাক্কি, লাঠা-লাঠি , টেকটনিক প্লেটে  রেষারেষি  
কে চড়বে কার ঘাড়ে,ঢুকে যাবে কে যে কার পেটের তলায়
ভয়ে জড়সড় সব মরে গিয়ে ভয় পাই  –‘যদি মরে যাই!’
আতঙ্কের উলুধ্বনি হাওয়াতে ছড়িয়ে তাই শাঁখ বেজে ওঠে ঘরে ঘরে !