লেখার ভিতর দিয়ে উঁকি দিল ধান ক্ষেত,ছোট ছোট আল,
অল্প জল থেকে মাথা তুলে দৌড়চ্ছে নির্বিষ রঙিন সাপ,এবং ব্যাঙ ও
থপ থপ করে লাফাতে লাফাতে একেবারে উঠে বসল খাতার পাতায় !
তারপর থেকে আজো সেই লেখাগুলো  থেকে শুধু ঝ’রে পড়ছে মাটি ,আর শেষ-ই হ’ল না !
বেলা যায়,পাতা ঝ’রে, রোদ আর কিছুতেই  মাথা তুলল না, অবশেষে উঁকি দিল তারার সংসার
আর সেই ধূমকেতু  লেজের ঝাঁটায় বয়ে নিয়ে এসেছিল যে মহাজাগতিক
অসংখ্য ধূলিকণা ; তা  এখন ঝরে পড়ছে মাথার উপর,
শুধু ধুলো নয়, কিছু শব্দ উদ্ভট উদ্ভট  আর চিহ্ন কিছু  অদ্ভুত অদ্ভুত...
এই যেমন ; সামনে দাঁড়িয়ে ১৮ বছর,এক কুর্তা-সালোয়ার ,অধীর অপেক্ষা তার
কখন নামবেন ওই মঞ্চ থেকে; তার অতি,অতি প্রিয় শ্মশ্রুগুম্ফধর---
ফিরেও দেখল না যে ,শুধু চলে যাওয়া তার অবজ্ঞামুখর যেন  অর্ধ-অচেতন
ছায়া-ছায়াময়তায় দীপ্তিময়  অক্ষরের
গমনরেখার এক  মৃদু অবয়ব সারাদিন সারারাত ,দিন আর রাত ...
তারপর থেকে এই অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপাত,হয়তো এবার
মাথা তুলবে কোনও এক  উদ্ভিদ অবাক ...