পুজোর ছুটি    নেই বিরতি        
  কাজে আনবো জোয়ার
দুখের ঘরে     আঘাত করে  
    ভাঙতে হবে দুয়ার।


এবার তাই     বলবো ভাই  
    মনের ভাবনা যত
হাত পা গুলো  ছোটই হলো
    মনটা নয়তো ছোট।


বড়োরা চোখে   জগত টাকে        
     অনন্য পরখ করে
আমি তো ভাই দেখতে পাই
    ভুগছে সেটাই জ্বরে।
        
শালিক পাখী   রোজই দেখি
    অনেক বাসায় আছে        
সখী না পেয়ে   বিরাগ হয়ে
    খাঁচার কোণায় বসে।


সকল ক্ষণে     বাহির পানে
     নজর রাখছে পাখী
অতিথি এলে    সারা জাগালে
    নীরবে মারছে উঁকি।


দুখের বশে     মনকে কশে
    অশ্রু ঝরায় চোখে
প্রতি দিবসে    খাঁচায় বসে
  নিজের মাথাটি ঠোকে।  


বুঝেছি রাতে   তার ব্যথাতে
    ঘুমটিও গেছে চলে            
দুখের ভাগি    রাত্তির জাগি
    সেকথা যাইনি ভুলে।


সাল গড়ালো    বয়স হলো  
     তার মুখে নাই বুলি          
কাজের ফাঁকে   শালিক টাকে
    শেখাবোই কথাকলি।


রাত পোহালে    সকাল হলে
     খুলবো পাখীর ঘর
বলবো তাকে    জগত টাকে
    দেখতে বেড়িয়ে পড়।