নিয়তির নির্মম পরিহাসে বস্তির বদ্ধ
গণ্ডী কে তার জগত ধরে নিয়ে মানিয়ে          
চললো সে অশেষ দুঃখ কষ্ট সহে।
বাস করতো যেন বাবুর বাড়ির নাদাতে
গা-ভাসা জলে জিয়ন মাছের সাথে ওদের
দলভুক্ত এক সদস্য হয়ে।
জীবনের ছন্দ হারিয়ে বিষাক্ত জল,বাতাস
গিলে খাবি খেত মাছেদের মতো।হাত-পা
ছুঁড়ত সে একটু বাঁচার আশায়।
হঠাৎ সুদূর হতে দোর্দণ্ড প্রতাপে ঘূর্ণি ঝড়
ছুটে এসে তাকে দিলো প্রশ্রয়।এক নিঃশ্বাসে
বলে গেল,প্রত্যাশার পূরণে ভিখ মাগ গিয়ে
কল্পতরু র ছত্র ছায়ায় বসে।
আঁধার গণ্ডীর থেকে বেরিয়ে যাবার সাধ্য    
ছিল না তার।দুচোখ থেকে ঝরলো অশ্রুজল।
শিকড়-বাকড় নিয়ে মাটিতে দৃঢ় ভাবে সেঁটে
থাকা কল্পতরু তার দিকে এগিয়ে আসবে না
সে কথাও ছিল জানা।
তখনও জানত না ইত্যবসরে তার ভাগ্যলিপি
অন্তঃসলিলা র মতো পৌঁছে গেছে সেই বাবুর
ঘরে।
বাবু,বিধাতা সেজে মিটিমিটি হেসে এগিয়ে
এলেন সেথায়।ভাবখানা দেখে মনে হলো
তাকে কল্পতরুর চেয়েও বেশি কিছু বলা
ভালো।কিছু না চাইতেই চারিদিক ভাসালো          
সে বুক ভরা আশ্বাসে।মাছের চাড়ের মতো
অভয় বাণী ছড়িয়ে দিলো।
খিদের তাড়নায় উল্লাসে ভাসমান তলিয়ে
দেখে নি গভীরে।বোঝে নি তখন সেজন
কতটুকু ছাই পাঁশ গিলেছে অতিশয় বিশ্বাসে।
যখন কাঁটার মতো কিছু একটা বাঁধলো
গলায় ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলো  
মুখোশ ধারী বাবুর বড়শিতে সে বিঁধেছে।