যুদ্ধে জিততে হলে হবে রক্তক্ষয় পরাধীন জাতিকে রক্ত দিতে হয়
বীর নেতাজী বললেন স্পষ্ট কথা
সাথে বললেন সেনানীরা রক্ত দিন জেনে রাখুন সবে আসবে সুদিন
স্বাধীনতার যুদ্ধে রক্ত যাবেনা বৃথা।
পরাধীন জাতি চায় রক্ত দিতে দুর্লভ স্বাধীনতার স্বাদ টুকু পেতে
তখন মুছে যায় সব দুর্ভাবনা
পরাধীন দেশের বীর সেনানীরা যুদ্ধে রক্ত দিতে সায় দিলো তারা
তাদের মনে ছিল নাকো ছলনা।
নব উদ্যমে চললো সেনাদের প্রশিক্ষণ যুদ্ধের পরিকল্পনা তৈরি হলো তখন
যুদ্ধের সব প্রস্তুতি ও হলো সারা
নারী ও পুরুষদের আলাদা বাহিনী নারী সেনাদলের নাম ‘ঝাঁসির রানী’
নির্দেশের অপেক্ষা,প্রস্তুত বাহিনীরা।
২১শে অক্টোবর ১৯৪৩ খ্রীঃ,এবার হলো আজাদ হিন্দ নতুন সরকার
ঘোষণা করলেন বীর নেতাজী
দেশমাতার দুঃখ ঘোচাবার লাগি বীর সেনানী স্বাধীনতার স্বপ্নে জাগি
মৃত্যু বরণে ও সবাই রাজি।
১৮ই মার্চ ১৯৪৪ খ্রীঃ বিশেষ দিন ডাক এলো চলুন দেশ করতে স্বাধীন
এগিয়ে চললো সবে এক সাথে
ইংরাজ সরকারকে করতে বিদায় গড়তে ভারত সরকার হৃদ্যতায়
অস্ত্র ধারণ করলো শক্ত হাতে।
আজাদ হিন্দ ফৌজ নামলো পথে দুটি বাহিনী চললো ভিন পথে
সইতে হলো পাহাড়ি পথের ধকল
যুদ্ধ হলো ব্রিটিশ সেনাদের সাথে আজাদ হিন্দ বাহিনী হারেনি যুদ্ধতে
ব্রিটিশের যুদ্ধ ঘাটি করলো দখল।
মাসের পর মাস চললো লড়াই ব্রিটিশ সেনারা কোথাও জিতে নাই
হেরে পিছনে হটতে লাগলো তাই
আজাদ হিন্দ বাহিনীর অগ্রগতিতে রসদ যোগানো যায়নি সাথে সাথে
বাহকদের চেষ্টায় কোন ত্রুটি নাই।
তারা চললো অবিরাম পাহাড়ি পথে বোঝা নিয়ে বহু পথ পায়ে হেঁটে
নমস্য দেশমাতার যথার্থ সন্তানেরা।
তবু তাদের চলার নেই বিরাম দেশমাতা যে কাঁদছেন অবিরাম
তাঁর দুঃখকষ্ট বুঝবে না সাহেবেরা।
অভুক্ত আজাদ হিন্দ বাহিনী সমরে ব্রিটিশ যুদ্ধ-ঘাটি গুলি দখল করে
পৌঁছে গেল ওরা কোহিমা ও ইম্ফল
ব্রিটিশ বাহিনী হেরে হটলো পিছে ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকা উঠলো দেশে
১৫০ মাইল ভারতীয়রা যুদ্ধে সফল।
ইংরাজরা চালালো দেশে ভ্রান্ত প্রচার জাপানিরা করবে এই দেশ অধিকার
দেশবাসী তাদের প্রতিহত করো এখনি
বিভ্রান্ত হলো এই ভারতের জনগণ আজাদ হিন্দ বাহিনীকে দেয়নি ইন্ধন
তবু লড়াই করলো আজাদ হিন্দ বাহিনী।
দেশে শুরু হলো বর্ষা ও বন্যা পাহাড়ি পথে এগোনো যায় না
খাদ্য ছিল না আজাদ হিন্দ বাহিনীর সাথে
তাদের খেতে হলো শুধু লতাপাতা জেনো ভাই সেটাই সত্যি-কথা
অতি কষ্টে তাদের প্রাণটুকুকে বাঁচাতে।
যুদ্ধ বিমান তখন খুবই জরুরী খাদ্য যোগান দিতে তাড়াতাড়ি
তাদের ছিলনা সেই বিমান মোটে
এবার নিশ্চিত হারতে হবে ভাই অভুক্ত শরীরে করবে কি লড়াই?
কিছু সৈন্য ধরা পড়লো ব্রিটিশের হাতে।
প্রকৃতির কাছে হারলেন নেতাজী তবু অনেকে যুদ্ধ চালাতে রাজি
নেতাজী একবারও সায় দেননি তাতে
তিনি বোঝালেন বীর সেনানীদের বর্ষা পরিহার করতে হবে তাদের
নেতাজী সৈন্য ফেরালেন সাথে সাথে।