দেখি হরিপুরা অধিবেশনের ভাবগতি নেতাজী কংগ্রেসের সভার সভাপতি
দেশে যুক্তরাষ্ট্র গঠনের বিরুদ্ধে বললেন
আপোষহীন সংগ্রামের তুললেন দাবী গান্ধীজী সহ দক্ষিণ-পন্থীরা বিরোধী
সবে নেতাজীকে পদচ্যুত করতে চাইলেন।
ত্রিপুরিতে হলো কংগ্রেস অধিবেশন ভোটে হলো সভাপতি নির্বাচন
বিপুল ভোটাধিক্যে জিতলেন নেতাজী
হারলেন গান্ধীজীর মনোনীত প্রার্থী গণতন্ত্রে তাতে হলো কি ক্ষতি?
ক্ষোভে অধিবেশন ছাড়লেন গান্ধীজী।
সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাদের সেই ভাবনা গান্ধীজীকে দিলো বিষম যন্ত্রণা
পারেন নিকো তাতে সায় দিতে
নদীতে কি নামবে একাধিক ধারা কতখানি স্রোতবহ হবে তারা
কতটা সক্ষম হবে পলি ঠেলতে।
মূল লক্ষ্য যখন দেশের স্বাধীনতা পদাধিকার নিয়ে ভাবনা বৃথা
দলের স্বার্থে পদ ছাড়লেন নেতাজী
তার বিপুল অনুরাগী রইলো সাথে স্বতন্ত্র ফরোয়ার্ড ব্লক হলো তাতে
সহিংস আন্দোলনে সবাই রাজি।
আন্দোলনে সাথে নিলেন বামপন্থীদের সমন্বয় কমিটিতেও নিলেন তাদের
সেই দেখে সাহেবরা গেল রেগে
কারারুদ্ধ করলো তারা নেতাজীকে অসুস্থ বলে গৃহবন্দী রাখলো তাকে
বহু অতন্দ্র প্রহরী থাকতো জেগে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে ঘোষণা সবার দুঃখকষ্ট ছাড়ালো সীমানা
খাদ্য-সংকট দেখা দিলো তখন
নেতাজী করবেন দেশকে স্বাধীন ভিখ চেয়ে করবেন না মিনমিন
ভাবলেন আসছে যুগের সন্ধিক্ষণ।
যুদ্ধে লড়তে চাই অর্থ ও অস্ত্র সাথে দক্ষ সেনাদল,খাদ্য ও বস্ত্র
সেসব নেতাজীর ছিলই জানা
সেসব নয়কো একটু খানি দীর্ঘ দিন টানতে হবে গাড়ি খানি
যতদিন চলবে এই যুদ্ধ খানা।
কোথা থেকে জোটাবেন সেসব যখন সব দেশ বিশ্বযুদ্ধে সরব
তবুও করতে হবেই যুদ্ধ জয়
শত্রু দিয়ে করবেন শত্রু নিধন এই ভাবনা মনে জাগলো তখন
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হয়।
তিনি অতি দ্রুত যাবেন বিদেশে ইংরাজের শত্রুপক্ষ যেথায় আছে
মেলাতে হাত দুটি এক সনে
স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর নেতাজী নিজের জীবনকে রাখলেন বাজি
ছদ্মবেশে বিদেশ যাবেন নিজগুণে।
দাবানল তার মনের ভিতর শত বাধা বিপত্তিতে নেই ডর
স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখলেন যিনি
১৯৪১ সালের ১৯শে জানুয়ারি দিনটা মনে রাখা বেশ জরুরী
পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে চললেন তিনি।