পৌঁছে গেছি হৃদয় পুরে,
তারপর অলিগলি পেড়িয়ে দেহে    
ছড়িয়ে থাকা রক্ত এর কুঠুরিতে  
খানা তল্লাসি করেছি তার ঘরে।
দেখেছি অণুচক্রিকাগুলিকে কিলবিল করতে
মহিষাসুরের বংশধর যেন ওরা
বেড়েছে সংখ্যায় ও গায়ে গতরে
গাণিতিক নিয়মে গুণোত্তর প্রগতিতে।
ওদের বাড়বাড়ন্ত এতোটাই
সবার ঠাঁই হলো না নিজেদের বসত ঘরে
বুলেট প্রুফ গণ্ডারের চামড়ার পোশাক পড়ে
পিস্তল হাতে যেন পথে নেমে নিজেরাই করছে লড়াই।
নির্ভিক ওরা।যত ভয় ছা-পোষা বাদবাকিদের
যখন তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে
পথে ঘাটে পড়ে থাকতে দেখেছি তাদের।
নয়তো বজ্জাতরা সুযোগ বুঝে ওদের গলা টিপেছে
রক্ত জমাট বেঁধেছে শিরা উপশিরায়
শরীরের নানান অঙ্গ প্রত্যঙ্গে
দুর্বিপাকে ওরা মাথা কুটে মরেছে।
হাই তুলতে দেখেছি ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডকে
ফর্সা শরীরটা হয়েছে একেবারে কালো
যেমন হয় বিষধর সাপের কামড়ে,
দুই চোখও ফ্যাকাসে
ঝাপসা দৃষ্টিতে সে চোখ উল্টে চেয়ে আছে অপলকে।