মজেছি একটি আজব দেশের গুজব কথা শেয়ার
করার নেশায়।শ্বাপদেরা অর্থ রোজগারের লালসায়
নিষিদ্ধ নীল ছবি তৈরি করে উল্লাস ভরে ঘুড়ির
মতো ওড়াচ্ছে সেথায়।


সেই সমাজের বুকে গহন আঁধারে ঘুরছে ওদের
প্রেত ছায়া কালো বিড়াল শত শত।স্থায়ী বসতি
গড়ছে সমাজের বুকে।ওরা বংশ বিস্তারের নেশায়
মেতে রয়েছে মহা সুখে।    


বেয়ারা বিজ্ঞাপনগুলো কে গলকম্বলের মতো ঝুলিয়ে
কালো বিড়াল ঘুরছে নিশুতি রাতে।ম্যাও ম্যাও
করে ডাকছে করিডোরে,জড়ো হয়ে এক সাথে।
তোলপাড় করে আঁচড় কাটছে দরজা-জানালায়।


মহান গণতন্ত্রে সায় দিতে হয় ব্যক্তি-স্বাধীনতায়,  
মনের রিপুগুলি জেগে উঠলে শ্বাপদ ও বিড়ালের
কী দায়?রাত জাগলে অনিদ্রায়,বিড়ম্বনায় ঘুমের
ঔষধ সেবন করে ঘুমানোর কৌশল নেই জানা?


অবাধ্য রিপুর তাড়নায় পঙ্গপালের মতো নিশুতি
রাতে উড়তে মানা।ঘুমের ঔষধ খেয়ে নাও গো
সাথে সাথে।রাষ্ট্র অতন্দ্র প্রহরী হয়ে নজরে রাখছে
অমঙ্গলের আশঙ্কাতে।


গণতন্ত্রে ব্যক্তি-স্বাধীনতায় আঘাত করলে বাড়ে
বিড়ম্বনা, একথা নিশ্চয় আছে জানা।তাই মাদক
সামগ্রীর লেভেলের গায়েও বিধিবদ্ধ সতর্কবার্তা
রয়েছে সাঁটা।বলার অবকাশ আছে কি ক্রেতার
ক্ষয়ক্ষতি হলে দায় বর্তাবে রাষ্ট্র বা বিক্রেতার?


জীবন সিঁড়ির নির্জন বাঁকে বিড়ালদের আঁচড়ে
প্রাণের সত্তার পাপড়ি খসবে।কোথাও বিদ্রোহের
আগুন জ্বলবে বা কোথাও মোমবাতির মিছিল
চলবে।কফিনে শেষ পেরেক যাবে নাকো ঠুকা।
গণতন্ত্রের গায়ে বিঁধে অনর্গল রক্ত ঝরবে।