দূর হতে দেখি মেঘ-মণ্ডলী
গগনের মুখে মাখানো কালি,  
অগ্নিকোণে কালো মেঘ-কেল্লা
আলোয় উদ্ভাসিত,কী জেল্লা!


পড়ন্ত বেলায় মেঘের ফাঁকে
একচোখা দেখে ঈশান দিকে,
কালিমালিপ্ত তার সেই চোখ
লাল যেন রক্তে রাঙা সিঁদুর।
  
চারদিকে বায়ু বহে উল্কাবেগে
জলধর কাঁদছে তীব্র আক্ষেপে,
দরিদ্রের পর্ণকুটির হেলে দোলে
গৃহীর বাঁচার আশা দোলাচলে।


তরুশাখা খসে পড়ে নতশিরে
শতশত বৃক্ষ মাথা-কুটে মরে,
কিংবা তড়িতের তার জড়িয়ে
গলে ফাঁস দেয় রাস্তার ধারে।
  
সাগর তখন যেন উদ্ধত ফণী  
কেঁদে মরে তপাতুর মন্দাকিনী,
মেঘ-গর্জনে কাঁপে মেঘ-কেল্লা
ত্বরায় ঘর মুখো মাঝি-মাল্লা।


তড়িতের ঝলকানি শুভ্র খাঁড়া
অশনির বার্তাবাহক শিরদাঁড়া      
কসরতে রত।দেখেছি ক্ষণকাল
গগন ললাটে কৃষ্ণ মেঘ-জাল।


মেঘ-ললাট নিঃসৃত ঘর্ম-জাল
বহিছে ঘূর্ণিবায়ুর সাথে উত্তাল    
ধরণীতে।উদ্ধত কাল-বৈশাখী
তোর ভয়ে সন্ত্রস্ত পশু পাখি।
  
গুরু-গম্ভীর বজ্রনির্ঘোষ শুনি
গগনে পবনে।ক্ষিপ্ত উন্মাদিনী
ছাড়ছে বীভৎস সহস্র হুঙ্কার
রেগে।বজ্রনাদ তার ঝংকার।
  
তাকে রুধিবার সাধ্য কার?
উন্মাদিনী,এ’কোন অহংকার?