চারদিকে,একবার চেয়ে দেখো,
সমাজের সর্বত্র কী কলুষিত।
সবদিক ঢেকেছে যেন অজস্র
আবর্জনায়।দেখে তো মনে হয়
সমাজটা যেন একটি জলাশয়,
কালক্রমে ঢেকে গেছে অগণিত
কচুরিপানায়।
প্রতিনিয়ত মনে জাগে ভাবনা,
সহসা তাকে পরিচ্ছন্ন করবার
আছে কি কোনও সম্ভাবনা?
নীলকণ্ঠ,তুমি কি এখানে পৌঁছে
গেছো?বিস্ময়ে হতবাক হয়েছি
যখন বুঝেছি,জলাশয়টি নিয়ত
নীলকণ্ঠের মতো সমাজের বিষ,
অপাচ্য আবর্জনা গিলেও মানব
সভ্যতাকে রক্ষা করতেই চেষ্টা
করেও ব্যর্থ ।
এখন ডোবার মতোই চেহারা
নিয়ে মুখ কালো করে মুক্তির
আশায় সকলের দিকে নির্বাক
চেয়ে আছো,নীলকণ্ঠ!মানুষের
নির্মম অত্যাচারে এই ডোবায়
হয়তো তোমাকেই এবার ডুবে
মরতে হবে।একবারও তোমার
দিকে কেহ ফিরে তাকাবে না
এই ভবে।
দুর্নীতি ঢুকেছে সমাজের রন্ধ্রে
রন্ধ্রে।স্বচ্ছতার অভাবে।ডোবার
আকৃতির এ জলাশয়ে কর্মপ্রার্থী
যুবক যুবতীরা এখন দেখতেও
পাচ্ছে না কোনও স্পষ্ট ছবি।  
জলাশয়ের দিকে চেয়ে দেখো,
ভেসে উঠছে কি কর্ম-প্রার্থীদের
বিবর্ণ মুখগুলির প্রতিচ্ছবি?
বলি,একটু কান পেতে শোনো।
বলো,তুমি কি শুনতে পাচ্ছো
তারা দীর্ঘ নিশ্বাসে প্রতিনিয়ত
উগড়ে দিচ্ছে হতাশা?সমাজের
জলসাঘর দেখে তারা হারাচ্ছে
সব আশা ভরসা।
ভাবি,তারা কোন অন্ধবিশ্বাসে
আজ আকাশের দিকে তাকিয়ে
আছে?তারা কি ভেবেছে এই
সমাজে অসাম্য ঘোচাতে স্বর্গ
থেকে নেমে আসবেই কোনও
দেবদূত?
বলছি,যদি তাদের মনে এই
বিশ্বাসই জাগে তবে সে যেন
দেবদারু বৃক্ষের মতো আরও
বেড়ে ওঠে।তাদের সব কাজ
যেন করে দেয় দেবদূত।