নর-নারীদের মনে বৈষম্যের ক্ষত
দহন যন্ত্রণায় পোড়ে প্রতিনিয়ত।
সমাজে পথ-প্রদর্শকের খামতিতে
নারীরা গেল আন্দোলনের পথে।
কালবৈশাখীর তাণ্ডব ঝড় শেষে
বৃক্ষরাজির যথা দাম্ভিকতা ঘোচে
তাদের আন্দোলন-সংগ্রামে শেষে
বৈষম্যটা এখন অনেকটা ঘুচেছে।
পুরুষ ও নারীদের সমানাধিকার
মানবাধিকারের সংবেদী মানদণ্ডে
তুল্যমূল্য বিচারে দীর্ঘদিন আগেই
দেশের সংবিধান করেছে স্বীকার।
যৌনাচারও ব্যক্তিবর্গের স্বাধিকার
এই ব্যাপারে বিতর্ক কি দরকার?
সংবাদ শিরোনামে এলো বারবার
ফোয়ারার মতোই টগবগে সংবাদ।
সংশয়ে নরনারীরা গুনলো পরমাদ
পরকীয়া নিয়ে করলো বাদানুবাদ।
যখন বিবাদটি মিটলো না সহমতে
তাদের যেতে হলো-ই আদালতে।
‘পরকীয়া’ এই মাদক সেবন করে
মত্ততায় কত বিনিদ্র দিবস-রজনী
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সূক্ষ্ম রজ্জু ধরে
দম্পতিরা করেছে দড়ি-টানাটানি।
পরকীয়ায় পতির লাগবে কি সায়?
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে বিবদমান
দুই পক্ষের যুক্তি পাল্টা-যুক্তি শেষে
আদালত দিয়েছে যুগান্তকারী রায়।
সকল নর-নারীদের সমানাধিকার
স্বীকৃত হলে সম্মতি কেন দরকার।
গৃহস্বামীরা পতিতালয়ে গমনকালে
স্ত্রীর সম্মতি নিয়েছে কোন কালে?
গৃহিণীদের মানতে হচ্ছে অনিচ্ছায়,
গত্যন্তর কোথায় সংসার সুরক্ষায়!
সমানাধিকারের দাবীতে বিপরীতে
স্বামীর সম্মতি কেন,কোন যুক্তিতে?
বিচারকরা জানিয়েছে তাদের রায়
পরকীয়ায় পতির লাগবে না সায়।
দিব্যদৃষ্টিতে সব দেখছেন ‘প্রজাপতি’
ভঙ্গীতে বোঝা দায় তার মতিগতি!
আগামীতে হয়তো বিশ্বাস-শুন্যতায়
অথবা মিথ্যাচারের ঘৃণ্য-প্রবণতায়
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সূক্ষ্ম রজ্জু ধরে
দম্পতিদের চলবেই দড়ি-টানাটানি।
প্রশ্নের মুখে পড়বেই বিবাহ-বন্ধনী
ক্ষণিকে আসবে প্রলয়কারী সুনামি।
ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করবে বিবাহ-বন্ধনী
দেশে চূড়ান্ত অবক্ষয় আসবে নামি’।
সেই বন্ধনী ছিন্ন হলে হৈ-হৈ রবে
জনগণ তখন বিতর্ক-সভা বসাবে।
দিনান্ত সমাধান সূত্র খুঁজবে আসর
সেই প্রচেষ্টা পাবেই সবার সমাদর।