বিশ্বে একছত্র অধিপতি হবার স্বপ্নে বিভোর
দীর্ঘ কালীন প্রস্তুতি নিয়ে নামলি যুদ্ধ জয়ে।
তোর অহং বোধ দেখে কেঁচোরা সদলে এসে
কী বলেছিল তোর পদতল ছুঁয়ে,সেকথা কি
মনে পড়ে?
বলেছিল-‘ঘাতক!ছুরিতে শান দিবি নাকো
আর।সে-দিন কর্ণপাত করিস নি সে-কথায়।
যুদ্ধ জয়ের নেশায় মেতে বারংবার অনেক
দেশ করেছিস ছারখার।তোর তাণ্ডব লীলায়
নিরীহ মানুষও পায়নি নিস্তার।
অসম সে-যুদ্ধে জয়ী হয়ে ফিরেছিস দু’হাতে
রক্ত মেখে।উল্লাসে তোর শাণিত ছুরি বসিয়ে
দিয়েছিস মানবতার বুকে।
দেখি,এখনও চারিদিকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র
নিয়ে রণ সাজে সজ্জিত তোর সব পদাতিক
বাহিনীর বুটের শব্দ বাতাসকে করছে ভারী।
দেখছি সাগর বক্ষে অর্জুনের মতো লক্ষ্য ভেদে
প্রস্তুত তোর সহস্র সাঁজোয়া রণতরী।
এবার তোকে লড়তে হবে নতুন এক যুদ্ধে।
শত্রু পক্ষ,যাকে লক্ষ্য করে অস্ত্র নিক্ষেপ করবি
ভেবেছিস সে মেঘনাদের মতো অলক্ষ্যে থেকে
লড়াই করবে নিয়ত।
ওরে পাষণ্ড!এই যুদ্ধে কোন কাজে লাগবে না
তোর বন্দুক কামান,সৈন্য-সেনা।তোর বিপক্ষে
আজ করোনা ভাইরাসের মতো মারণাস্ত্র।
দেখছি,থরথর করে কাঁপছে তোর ঘর।দুর্বল
খিলান গুলির উপর করবি নির্ভর?
দেখ,তোকে দেখে বিদ্রূপ করছে তোর ঘরের
আসবাবপত্র,দরজা জানালা।করোনা তোকে
হাতের চেটোতে নিয়ে করছে ছেলেখেলা।
তোর দম্ভ,লাটাইয়ের সুতোর টানে ঘুড়ির মুখ
থুবড়ে পড়ার মতো দশা।ঘোর অমানিশা দেখে
তুই আজ ভীত সন্ত্রস্ত।আলেয়ার ভয়।জেনে রাখ
এই যুদ্ধে নিশ্চিত তোর দম্ভের হবে পরাজয়।